প্রবল বিক্ষোভের মুখে শিশির অধিকারী, দু’পক্ষের খণ্ডযুদ্ধে তোলপাড় সভাস্থল
অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়ে বলেছিলেন, এটা মেদিনীপুরের সম্মানের লড়াই। আর সেই নিজের গড় কাঁথিতেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সদ্য দলবদলু শিশির আধিকারী। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় জেলার রাজনীতি। কারণ তিনি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং কাঁথি তাঁর গড় বলেই পরিচিত। সেখানেই এভাবে বিক্ষোভের মধ্যে পড়া কার্যত নজিরবিহীন। তাঁর সভাস্থল ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এমনকী উঠল শিশিরবাবু চিটিংবাজ স্লোগান। যা তিনি ভাবতেও পারেননি। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও এগরা থানার পুলিশ। সোমবার উত্তর কাঁথির কাঁকগেছিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।
পদ্মবনে শিশির ঝরে পড়ার পর আজই প্রথম বিজেপির কোনও প্রচারে গিয়েছিলেন শিশিরবাবু। বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিনহার প্রচারে সন্ধ্যেবেলায় তিনি কাঁকগেছিয়ার সভায় যান। তখন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকরা শিশির অধিকারীর গাড়ি ঘিরে বক্স বাজিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান এই বর্ষীয়ান নেতা। এমনকী প্রায় ঘণ্টাখানেক তাঁকে এভাবেই আটকে রাখা হয়। বিজেপি সভাস্থলের কাছাকাছিও চলে যায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। আর তাতে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়।
এই ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার জেরে তিনজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু এই বিক্ষোভে হকচকিয়ে যান শিশিরবাবু। তবে শিশির অধিকারীকে ঘিরে রেখেছিল তাঁর নিরাপত্তা কর্মীরা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ চলাকালীন শিশির অধিকারী টর্চ মেরে যুবকদের চেনার চেষ্টা করেন।
দফায় দফায় বিক্ষোভে স্নায়ুর চাপ বাড়তে থাকে শিশিরবাবুর। যদিও এই বিষয় নিয়ে শিশির অধিকারী বলেন, ‘কিছু যুবককে মদ খাইয়ে সভা বানচাল করার চেষ্টা করছে। আমি ওদের সব ছবি তুলে নিয়েছি। পরে ব্যবস্থা নেব। এসব পরিস্থিতি আমি বহু দেখেছি। এসব করে কিছুই হবে না।’ তবে তিনি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নামে অভিযোগ করেননি।