অভিভাবকহীন প্রদেশ কংগ্রেস, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত সোমেন মিত্র
৭৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সোমেন মিত্র।
কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
কলকাতা: বুধবার গভীর রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র, মৃত্যুকালে তাঁর (Somen Mitra) বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর (West Bengal Congress president)। ওই হাসপাতালের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, “একটি রুটিন চেকআপের সময় শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি পাওয়া যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (COPD) রোগী ছিলেন এবং সঙ্গে বার্ধক্যজনিত অন্যান্য অসুস্থতাও ছিলো।” তবে হাসপাতাল সূত্র একথাও জানিয়েছে যে, তাঁর করোনা টেস্ট করা হলে সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ইহলোক ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকে।
লোকসভার সাংসদ থাকাকালীনই হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে সোমেন মিত্রের বাইপাস সার্জারি হয় এবং শরীরে পেসমেকার বসানো হয়। জানা গেছে, কিছুদিন ধরে সেটিতে সমস্যা হওয়ায় পুরনো পেসমেকার বদল করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি থাকায় সমস্যা তৈরি হয়। ফলে তাঁর ডায়ালিসিসও করতে হচ্ছিল। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হচ্ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই বুধবার গভীর রাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ।
প্রিয় নেতা এবং সকলের অত্যন্ত কাছের ‘ছোড়দা’-র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করা হয়।
সোমেন মিত্রকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ যুব কংগ্রেসও। টুইট করে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “প্রয়াত সোমেন মিত্রের পরিবারের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে। তিনি বাংলার এক বিরাট মাপের মানুষ ছিলেন এবং নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনযাত্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমার সমবেদনা। তাঁর অবদান কখনো ভোলা যাবে না।”