এখনই হাজারো মানুষকে টিকা দিতে শুরু করেছে চীন!
এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিনের মধ্যে বেশ কয়েকটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া। তবে টিকার স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর অবস্থানে ইউরোপ-আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা। স্বেচ্ছাসেবীর অজানা সমস্যা দেখা দেয়াই এরই মধ্যে পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে অক্সফোর্ড।
কিন্তু চীন তাদের উদ্ভাবিত টিকার পরীক্ষায় অতোটা সতর্কতা অবলম্বন করছে না বলেই অভিযোগ। চীনের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার মানুষকে পরীক্ষামূলক টিকা দেয়া শুরু করেছে।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকি সত্ত্বেও চীনা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে টিকা প্রয়োগ করছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনোফার্মের সহায়ক সংস্থা চীনা ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ কোম্পানির দুটি পরীক্ষামূলক টিকা গত জুলাইয়ে সরকারের কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায়। চলতি সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের টিকাগুলোর পরীক্ষামূলক ডোজ কয়েক হাজার মানুষকে দেয়া হয়েছে।
আরেক টিকা প্রস্তুতকারক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড বলেছে, তাদের কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ তিন হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলক ও করোনাভাইরাসের টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও রয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, উদ্ভাবিত তিনটি টিকা বর্তমানে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে। এ ধাপে টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই করে দেখা হবে। এগিয়ে থাকা অন্য ছয়টি করোনার টিকাও চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে।
মানবদেহে পরীক্ষা পর্ব শেষ হওয়ার টিকাটি সাধারণ মানুষের ওপর গণহারে প্রয়োগ করা যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয় দেশের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানির বেশ কয়েকটি টিকা পরীক্ষায় অনেকখানি এগিয়ে থাকলেও তা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার বাইরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের ওপর প্রয়োগের অনুমতি পায়নি।
তিনটি চীনা টিকার মধ্যে চীনা ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের তৈরি দুটি টিকা ও সিনোভ্যাকের একটি টিকা জরুরিভাবে নাগরিকদের ওপর ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। চতুর্থ আরেকটি টিকা সেনাসদস্যদের দেয়ার জন্য সবুজ সংকেত পেয়েছে।
চীনের সিনোভ্যাকের টিকাটি বর্তমানে ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ায় পরীক্ষা চলছে। টিকাটি বাংলাদেশসহ আরো কয়েকটি দেশে পরীক্ষা করা কথা রয়েছে।
চীন ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ বলেছে, জরুরি ব্যবহার দেখে বোঝা যাচ্ছে টিকা কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানও আত্মবিশ্বাসী যে তাদের টিকা তিন বছর ধরে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে।
সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল