এবার করোনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে থাবা বসাল
অতিমারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখনও। তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিন বিধায়কের মৃত্যুও হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার করোনা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে থাবা বসাল।
দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সভা করেন। সেখানেই কোভিড যোদ্ধাদের স্মরণ করেন তিনি। সেকথা বলতে গিয়েই গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘যে ছেলেটা আমাকে বাড়ি গেলে চা দেয়, সেও আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। বাড়ি গিয়ে দেখি চা দেওয়ার কেউ নেই।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর অফিসে যে ছেলেটা ফোন ধরেন, তিনিও করোনা আক্রান্ত। তাঁর দাবি, এদের সবাইকে অতিমারীর জন্য এক জায়গাতেই রাখা হয়েছিল, তা সত্বেও এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৫৯ জন৷ তুলনামূলক একদিনে ৬ জন কম৷ তবে সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ৫,০৭০ জন৷
একদিনে যে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতারই ১৬ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ১১ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩ জন৷ হাওড়ার ৬ জন৷ হুগলির ২ জন৷ পূর্ব বর্ধমান ১ জন৷ পূর্ব মেদিনীপুর ২ জন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ১ জন৷ বাকুড়া ২ জন৷ বীরভূম ১ জন৷ নদিয়া ১ জন৷ মুর্শিদাবাদ ৩ জন৷ উত্তর দিনাজপুর ১ জন৷ দার্জিলিং ১ জন৷ আলিপুরদুয়ার ২ জন৷
এদিন ধর্মতলার সভা থেকে তিনি বলেন, সবথেকে বড় প্যান্ডামিকের নাম বিজেপি। দলিতদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, ভোটের সময় বড় বড় কথা বলে বিজেপি আর পরে অত্যাচার চালায় মানুষের উপর। হাথরস-কাণ্ডের উল্লেখ করে এদিন মমতা বলনে, ‘সবথেকে বড় প্যান্ডামিক হল বিজেপি।’
তিনি আরও বলেন, আমি হিন্দু বা মুসলিম নই। আজকের দিনের জন্য আমি দলিত। যার উপর অত্যাচার হবে, আমি তাই। বিজেপি সংবিধান না মেনে রাষ্ট্রপতি শাসনের মত শাসন চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।