করোনা টিকার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ভারত, আমেরিকার পরেই
নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস টিকার ৬০ কোটি ডোজের বরাত দিয়েছে ভারত। আরও ১০০ কোটি ডোজের জন্য আলোচনা চলছে। যা দেশের কমপক্ষে অর্ধেক মানুষকে টিকাপ্রদানের জন্য যথেষ্ট। সম্ভাব্য টিকা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত টিকার অগ্রগতি নিয়ে সেই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেই নিরিখে ভারতের আগে আছে শুধুমাত্র আমেরিকা। যারা ইতিমধ্যে ৮১ কোটি ডোজের বরাত দিয়েছে। আরও ১৬০ কোটি ডোজ কেনার জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকার ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশন সেন্টারের নিরিখে সারা বিশ্বের মানুষকে করোনা টিকা প্রদানের জন্য আরও তিন-চার বছর সময় লাগবে। তবে উচ্চ আয়বিশিষ্ট এবং ভারতের মতো মাঝারি আয়বিশিষ্ট দেশগুলি ইতিমধ্যে ৩৮০ কোটি ডোজের বরাত দিয়ে রেখেছে। একইসঙ্গে আরও ৫০০ কোটি ডোজ কেনার বিষয়ে আলোচনা চালানো হচ্ছে।
সংখ্যার নিরিখে আমেরিকা ও ভারত এগিয়ে থাকলেও সবথেকে বেশি সংখ্যক দেশবাসীর জন্য টিকার বরাত দেওয়ার পরিসংখ্যানে কয়েক যোজন এগিয়ে আছেন কানাডা। ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশন সেন্টারের সহ-অধিকর্তা আন্দ্রেয়া ডি টেলর জানান, নিজেদের জনসংখ্যার ৫২৭ শতাংশ মানুষের ডোজের বরাত দিযে রেখেছে কানাডা। ব্রিটেনের ক্ষেত্রে তা ২৭৭ শতাংশ। তবে আন্দ্রেয়া বলেছেন, ‘অবশ্যই এটা মনে রাখা উচিত যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের উপর ভিত্তি করে মাত্র কয়েকটি টিকা কেনা সফল হবে।’
নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, ‘বিশ্বকে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করতে ভারত টিকা তৈরি করছে। কেন ভারত নিজের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে না? দেশবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার। তাই টিকা বাজারে এলেই পর্যাপ্ত ডোজ নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।’