জন্মাষ্টমীতে ভগবান কৃষ্ণকে নিয়ে ৮টি তথ্য জেনে নিন একনজরে
আজ শুভ জন্মাষ্টমী। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি। সারা দেশে বিশেষ করে গোবলয়ে ও উত্তর ভারতে অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে এই দিনটি পালিত হয়। মথুরা ও বৃন্দাবনে একাধিক দিন ব্যাপী উৎসবের আয়োজন হয়। তা দেখতে সারা দেশ শুধু নয়, পৃথিবী থেকে পর্যটকেরা আসেন। সবমিলিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে সারা দেশ। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেও উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মায়াপুরের ইসকনের মন্দিরে ও বিভিন্ন স্থানে শুভ জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে অনারম্বর ভাবে। জন্মাষ্টমী তিথিতে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশবাসীকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জন্মাষ্টমীকে কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। হিন্দু মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।
কয়েকটি তথ্য দেওয়া হল :
ক) অষ্টমীতে জন্মাষ্টমী তিথি পালিত হয়। মনে করা হয়, ৩২২৮ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ১৯ জুলাই ভগবান কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তিনি যাদব বংশের অবতার।
খ) কৃষ্ণ শব্দের সংষ্কৃত অর্থ হল কালো। কৃষ্ণের মূর্তিগুলিতে তাঁর গায়ের রং সাধারণত কালো এবং ছবিগুলিতে নীল দেখানো হয়ে থাকে। তাঁর রেশমি ধুতিটি সাধারণত হলুদ রঙের এবং মাথার মুকুটে একটি ময়ূরপুচ্ছ শোভা পায়। কৃষ্ণের প্রচলিত মূর্তিগুলিতে সাধারণত তাঁকে বংশীবাদক এক বালকের বেশে দেখা যায়।
গ) রাখী বন্ধনের ঠিক ৮ দিন পরে সারা ভারতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হয়। দক্ষিণ ভারতে পালন করা হয় গোকুলাষ্টমী। এবং মহারাষ্ট্রে এই উৎসব পালিত হয় দহি হান্ডি ফাটিয়ে।
ঘ) শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায় তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উৎসব সবচেয়ে বড় করে হয়।
ঙ) শ্রীকৃষ্ণের মোট ১০৮টি নাম রয়েছে। মথুরায় কমপক্ষে ৪০০টি মন্দির রয়েছে যেখানে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা হয়।
চ) কৃষ্ণের নাম নিয়ে যে নৃত্য রয়েছে তার নাম রাসলীলা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পরাস্ত করতে অর্জুনকে যে কথা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, সেই কৃষ্ণের বাণী শ্রীমদ্ভগবত গীতা নামে পরিচিত।
ছ) ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে জন্মাষ্টমী উৎসব ধুমধাম করে পালিত হয়। সেখানকার শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে ভক্তেরা পুজো দিয়ে উৎসব পালন করেন।
জ) ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে পুরনো ঢাকায় গিয়ে শেষ হয়। ১৯০২ সালে এই অনুষ্ঠান চালু হয়েছিল। এরপরে পাকিস্তানের দখলে বাংলাদেশ চলে গেলে ১৯৪৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৮৯ সাল থেকে ফের তা চালু হয়েছে। এদিন বাংলাদেশে ছুটি থাকে।