ট্রান্সফ্যাটজনিত মৃত্যু : ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ দেশের তালিকায় ভারত
ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের ফলে হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত মৃত্যুতে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০২০ সালের ট্রান্স ফ্যাট শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে ১৫টি দেশে, যার মধ্যে ভারত অন্যতম। রোগটি প্রতিরোধযোগ্য এবং বিশ্বজুড়ে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হলেও থেমে নেই এই মৃত্যু।
১৫টি দেশের তালিকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লাটভিয়া ও স্লোভেনিয়া ইতোমধ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত সর্বোত্তম নীতি গ্রহণ অর্থাৎ সকল ফ্যাট, তেল এবং খাবারে প্রতি ১০০ গ্রাম ফ্যাটে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২ গ্রামে সীমিত করা, অথবা আংশিক হাইড্রোজেনেটেড অয়েল- পিএইচও’র উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তবে বাকি ১১টি দেশকে (বাংলাদেশ, ইরান, ভারত, মেক্সিকো, নেপাল, পাকিস্তান, কোরিয়া, মিসর, আজারবাইজান, ভুটান ও ইকুয়েডর) দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
প্রতিবেদনে আরেও বলা হয়, এ পর্যন্ত মোট ৫৮টি দেশ ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের নীতি গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ৩.২ বিলিয়ন মানুষ সুরক্ষা পাবে। তবে নীতিমালার অভাবে এখনও ১০০টির অধিক দেশ ট্রান্সফ্যাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, এমন একটা সময় যখন গোটা বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে লড়াই করছে এবং আমাদের অবশ্যই একইসাথে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এরমধ্যে অবশ্যই অসংক্রামক রোগ মোকাবিলার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে কারণ করোনাভাইরাসে এগুলো আরও ত্বরান্বিত হয়ে অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বিশ্ব অর্জনের যে লক্ষ্য রয়েছে তাতে আমাদের কোনাভাবেই বিলম্ব করা যাবে না।
ভারতে পিএইচও নমুনা বিশ্লেষণ করে প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও এর সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। ভারতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যনীতি না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জনস্বাস্থ্য।