দুর্গাপুজো আবার ঘরে বসে হয় না কি?’
বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে ১১০টি পুজোর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘দুর্গাপুজো আবার ঘরে বসে হয় না কি?’
মঙ্গলবার থেকেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মমতা। বুধবারও নবান্ন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১১০টি পুজোর উদ্বোধন করে বিধিবদ্ধ সতর্কতা হিসাবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘মা দুর্গার পুজো আমরা বন্ধ করিনি। পুজো বন্ধ করা ঠিক নয়। তাছাড়া কোনও কিছুই তো বন্ধ হয়নি। রমজান-ইদ-গণেশপুজো এগুলো ঘরে বসে করা যায়। কিন্তু দুর্গাপুজো মানে মায়ের বিরাট সংসার। সে পুজো বারোয়ারি। পুজো করে সব ক্লাব-কমিটি। বাড়ির পুজো খুব কম হয়।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, মমতার কাছে এখন করোনার থেকে বড় জুজু বিজেপি। হিন্দুত্বের আবেগে ন্যূনতম বাধা দিয়ে বিজেপিকে অ্যাডভান্টেজ দিতে চান না তিনি। তাই প্রতিযোগিতামূলক সাম্রদায়িকতার চর্চায় নেমেছেন মমতা। তাতে মানুষের প্রাণ গেলে যাক। তাঁদের প্রশ্ন, গোটা পৃথিবীর মানুষ, স্কুল, কলেজ, অফিস ঘরে বসে করতে পারলে দুর্গাপুজো ঘরে বসে করা যাবে না কেন?
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুর্গাপুজো আয়োজনে সরকারের উৎসাহ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘দুর্গাপুজোয় ৫০,০০০ সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় তো?’ আদালতের এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁকে আজকের মধ্যে আদালতে লিখিত জবাব পেশ করতে বলেছেন বিচারপতিরা।