ধ্বংসলীলা চালাতে পারবে রাফাল ৬০০ কিমি ভিতরে ঢুকে
অম্বালা এয়ারবেসে অবতরণ করল রাফাল যুদ্ধবিমান
চুক্তি হয়েছিল চার বছর আগে। অবশেষে আজ অর্থাৎ ২৯ জুলাই ভারতে রাফাল বিমান। হরিয়ানার আম্বালায় ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে রাখা হবে এই বিমান। জেনে নেওয়া যাক ঠিক কতটা শক্তিমান এই যু্দ্ধবিমান। শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠতে চলেছে এই বিমান-
এতদিন ভারতের কাছে ছিল লং রেঞ্জ মিসাইল স্কাল্প যা ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত হানা দিতে পারে। কিন্তু রাফালের শক্তি এতটাই যে চিন হোক বা পাকিস্তান, শত্রুশিবিরে ৬০০ কিলোমিটার ঢুকে আঘাত হানার সক্ষমতা আছে তার।
রাফালের বিয়ন্ড ভিজুআল রেঞ্জ ১৫০ কিমির বেশি। পাকিস্তানের হাতে যেসব যুদ্ধবিমান আছে তার বিভিআর বড়জোড় ৫০ কিলোমিটার
এয়ার টু এয়ার মিসাইল রাফাল জেটগুলির অন্যতম ইউএসপি। এর ফলে ১৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেট বিদ্ধ করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা।
রাফালের এয়ারটু এযার এবং এয়ার টু সারফেস ফায়ারপাওয়ার ৩৭০০ কিলোমিটার।
এছাড়াও রাফালে থাকে এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল। এই মিসাইল অন্তত ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম।
১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ৪৫ টি নিশানায় এক সঙ্গে আঘাত হানতে পারে রাফাল।
পাকিস্তান এবং চিনের বায়ুসেনা যে জেএফ ১৭ এবং জে ২০ যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করছে, সেগুলি দিনে এবং রাতে উড়তে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই চালাতে সক্ষম৷ চিনের দাবি অনুযায়ী, জেএফ ১৭ ফোর্থ জেনারেশন এবং জে ২০ ফিফথ জেনারেশন এয়ারক্রাফট৷অন্যদিকে রাফালকে বলা হচ্ছে ৪.৫ জেনারেশন এয়ারক্রাফট৷ রাফালের নির্মাণকারী সংস্থা দাসল্ট-এর দাবি, এগুলি omnirole এয়ারক্রাফট৷ অর্থাৎ প্রত্যেকটি মিশনে এই যুদ্ধবিমানকে যে লক্ষ্যে কাজে লাগানো হয়, প্রয়োজনে রাফাল তার থেকেও অতিরিক্ত করার ক্ষমতা রাখে৷