বিদ্যাসাগরের যে ৫ তথ্য আপনি না-ও জানতে পারেন
১
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলির (১৮৬৬) দুটি সনেট ঈশ্বরচন্দ্রকে নিয়ে লেখা। যদিও প্রথমটিতে (‘বঙ্গদেশে এক মান্য বন্ধুর উপলক্ষে’) কিছুটা রাখঢাক ছিল, কিন্তু পরেরটিতে (‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’) তা শিরোনামে প্রকট হয়ে উঠেছে।
২
বিদ্যাসাগরের বাবা তাঁকে গোসলের কথা বললে দুই-তিন দিন পুকুরের কাছে ঘেষতেন না। আবার যেদিন গোসল করতে নিষেধ করতেন, সেদিন দুই-তিন ঘণ্টার আগে পুকুর থেকে উঠতেন না।
৩
ঈশ্বরচন্দ্রের প্রচণ্ড পরীক্ষাভীতি ছিল। পরীক্ষার কথা শুনলেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতেন।
৪
১৮৬৯ সালে বিদ্যাসাগরের গ্রামেই একটি বিধবা বিবাহ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কোনো কারণে বিয়েটা হয়নি। এ জন্য তিনি গ্রাম ছেড়ে চলে আসেন। এবং মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত নিজের গ্রামে আর যাননি।
৫
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নিজের ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন এক বিধবার সঙ্গে, পরিবারের সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ছেলেকেই করেছিলেন ত্যাজ্য।