বেলুড় মঠের দুর্গাপুজো শুধু নেটে
বেলুড় মঠের দুর্গাপুজোয় এই বছর দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। কারণ সেই করোনা সংক্রমণ। ১১৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোয় এই প্রথম বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত।
তা হলে উপায়? তবে মায়ের পুজো না দেখতে পারার আক্ষেপ যাতে ভক্তদের মনে বাসা না বাঁধে, তাই পুজোর সবকটা দিন মায়ের পুজো সরাসরি দেখা যাবে বেলুড় মঠের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। সেখানে দেখা যাবে লাইভ টেলিকাস্ট। এছাড়া দূরদর্শন প্রতিবারের মতো সম্প্রচার করবে।
সূত্রের খবর, প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও পুজো হবে সমস্ত আচার বিধি মেনে। তবে প্রতি বছর মঠের মূল মন্দিরের পূর্ব দিকের মাঠে পুজো অনুষ্ঠিত হলেও, এই বছর পুজো মূল মন্দিরের ভেতরে হবে এবং প্রতিমার আকারও গতবারের তুলনায় ছোট করা হয়েছে। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন।
কি কি দেখা যাবে ওয়েবসাইটে? বেলুড় মঠ সূত্রে খবর, তাঁদের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে পঞ্চমীর দিন সন্ধ্যারতি, দেবীর বোধন, ষষ্ঠীর দিন দেবীর কল্পারম্ভ আমন্ত্রণ অধিবাস। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পুজো। অষ্টমীর দিন কুমারী পুজো, দশমীর দিন দেবী বিসর্জন, সবই দেখা যাবে।
তবে চিরাচরিত প্রথা মেনে হবে কুমারী পুজো, সন্ধি পুজোও। প্রথম বছর স্বামীজি নিজে হাতে আটজন কুমারীকে পুজো করেছিলেন। এখনও কুমারী পুজো মঠের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ। চার থেকে সাত বছর বয়সী কোনও ব্রাহ্মণ কন্যাকে কুমারীরূপে পুজো করা হয়। শোনা যায়, স্বামীজির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সারদা দেবী স্বয়ং এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এখনও পুজোয় মায়ের নামে সংকল্প করা হয়।
২০০০ সাল থেকে মায়ের পুজো বাইরের আঙিনায় আনা হয়েছে। কিন্তু এবার মূল মন্দিরে মায়ের পুজোর আয়োজন হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের জন্য এবার মায়ের পুজো বাইরে হবে না। লকডাউনের জেরে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল মঠ। ৮২ দিন পরে, ১৫ জুন থেকে ফের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। কিন্তু তার পর মঠের কয়েকজন সন্ন্যাসী ও কর্মচারী কোভিড সংক্রমিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ফের ২ আগস্ট থেকে মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।