ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করলেন জো বিডেন
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাটিক দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেন জো বিডেন। সে দেশের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে কোনও প্রধান রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর। শুধু তাই নয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে তৃতীয় মহিলা হিসেবে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন তিনি।
মঙ্গলবার একটি টুইটবার্তায় ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিডেন বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি, আমার সহযোদ্ধা হিসেবে কমলা হ্যারিসকে বেছে নিয়েছি। ছোটো ছেলের জন্য নির্ভীক যোদ্ধা এবং দেশের অন্যতম সেরা জনপ্রতিনিধি।’
সেই ঘোষণার পর প্রকাশ্যে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় কমলা টুইটারে লেখেন, ‘আমেরিকার মানুষদের একত্রিত করতে পারবেন জো বিডেন। কারণ তিনি সারাজীবন আমাদের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে উনি এমন এক আমেরিকা গড়ে তুলবেন, যা আমাদের আদর্শ মেনে চলবে। দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমি সম্মানিত এবং তাঁকে (বিডেন) কমান্ডার-ইন-চিফ বানানোর জন্য যা করার প্রয়োজন, তা করব।’বছর ৫৫-র কমলা চেন্নাইয়ে জন্মেছিলেন। তাঁর মা শ্যামলা গোপালন ছিলেন ক্যানসার গবেষক। ২০০৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কমলার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জামাইকার। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। খুব কম বয়সেই কমলার বাবা-মা’র বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তারই মধ্যে কমলা আমেরিকায় চলে আসেন। বিডেনের সেই সিদ্ধান্তে আমেরিকায় বসবাস করা ভারতীয়রা উচ্ছ্বসিত হলেও খোঁচা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ঝামেলা পাকাতে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, বিডেনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়া সত্ত্বেও কমলাকে নিজের ডেপুটি হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি ‘অবাক’ হয়েছেন। একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘উনি (কমলা) কীভাবে কাজ করেন, তা আমরা দেখব। আপনারা জানেন, উনি প্রাথমিক ক্ষেত্রগুলিতেও খুব, খুব বাজে কাজ করেছেন।’