মহাগঠবন্ধন ছাড়লেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন মাঝি, আসতে চলেছেন এনডিএ-তে
সামনেই বিহার ভোট। তাই দ্রুত বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। মহাগঠবন্ধন ছাড়লেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি। তাঁর দল হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ফের শাসক এনডিএ-র দিকে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন দলের মুখপাত্র বলেন যে আমাদের দল আর আরজেডি-কংগ্রেস জোটের অংশ থাকবে না। তবে দল কোন পথে যাবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলিত নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি। এদিকে বিরোধীদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অক্টোবর-নভেম্বরে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার জন্যই একা ভোট লড়ার ঝুঁকি নেবেন না মাঝি। তিনি ফের ফিরে যাবেন এনডিএ-র ছত্রছায়ায়, যারা একদিন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। কয়েকদিন আগেই জেডিইউ-র দলিত মুখ শ্যাম রজক আরজেডিতে যোগ দিয়েছেন। সেই ক্ষতি মাঝি এনডিএ-তে এলে পুষিয়ে যাবে, এমনটাই হিসাব কষছে নীতিশ কুমারের দল।
হ্যামের প্রস্থানের পর মহাগঠবন্ধনে এখন পড়ে রইল আরজেডি, কংগ্রেস, আরএলএসপি ও ভিআইপি। একদা নীতিশ কুমারের জেডিইউ-ও এই জোটের অংশ ছিল। যদিও পরে তারা ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়।
এদিন হ্যামের মুখপাত্র বলেন যে আরজেডির আচরণের জন্যই তারা জোট ছাড়ছেন। তাদের কথা শোনাই হত না বলে অভিযোগ হ্যামের নেতাদের।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জেডিইউ-র ভরাডুবির পর নীতিশ কুমার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে চেয়ার ছাড়েন। তার জায়গায় আসেন জিতেন রাম মাঝি। কিন্তু কিছুদিন পরেই নীতিশের বোধোদয় হয়। পত্রপাট বিদায় হন মাঝি। নিজের দল গড়েন তিনি। কিছুদিন ছিলেন এনডিএ-তে। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি তার ওপর অনেক আশা রাখলেও তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। এরপর বিজেপি-নীতিশ ফের মিলে যাওয়ার পর মহাগঠবন্ধনে যান তিনি। কিন্তু সেখানেও ২০১৯ ভোটে কোন আসন পান নি।