রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করা যাবে না, বলল সুপ্রিম কোর্ট
রবীন্দ্র সরোবরে যাতে ছটপুজো করা যায়, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিএমডিএ) মামলা দায়ের করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় দূষণ ঠেকাতে ছটপুজো বন্ধ করার জন্য ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই ধরনের কোনও পদক্ষেপ তো করেইনি বরং ট্রাইবুনালের নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে নোটিশ জারি করা হল। ফলে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতার বুকে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর দিন ভিড় জমান অবাঙালি হিন্দিভাষী মানুষজন। সরোবরের জলে নেমে পুজো সম্পন্ন করা ছাড়াও চলে দেদার বাজি–পটকা ফাটানো। এছাড়া ময়লা ফেলা, নোংরা করা তো আছেই। ফলে রবীন্দ্র সরোবর এলাকা ছটপুজোর জেরে অন্তত চার-পাঁচদিন চরম দূষণের কবলে পড়ে। এই নিয়েই রাজ্যের পরিবেশবিদরা মামলা ঠুকেছিলেন ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে। সেই মামলায় রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর কোনও অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেয় ট্রাইবুনাল। তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে কেএমডিএ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএফ নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নোটিশ জারি করে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাইবুনালের নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত হয়েছে কিনা তা রাজ্য সরকারকে পরবর্তী শুনানির দিন জানাতে হবে।
এবার এই রায়কে প্রতি বছর যথাযথভাবে কার্যকর করার দায়বদ্ধতা রাজ্য সরকারের কাঁধে। গত বছর ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার ছটপুজোর দিন রবীন্দ্র সরোবর এলাকার সব গেট বন্ধ করে দিয়েছিল। রাখা হয়েছিল পুলিশের নিরাপত্তাও। কিন্তু হাজার হাজার মানুষ সেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে সরোবরে ঢুকে পুজো করেছিল। এবার এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।