রাজ্য–রাজনীতিতে হিরো হয়ে গিয়েছেন বিভীষণ হাঁসদা
যার বাড়িতে এসে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর বাড়িতে আসার লোকের অভাব নেই। সকালে তৃণমূলের নেত্রী তো বিকেলে বিজেপি’র সাংসদ। রবিবাসরীয় দিনে এখন তিনিই সেলিব্রেটি।
এদিন সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের নেত্রী সোনাই মুখোপাধ্যায়। তিনি এসে বলেন, ‘সংসারের আসুবিধায় তিনি পাশে দাঁড়াবেন।’ আর বিজেপি’র সাংসদ সুভাষ সরকার দুপুরে হাজির হন। বিভীষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেমন কথা তেমন কাজ। রবিবার বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপি সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার। খতিয়ে দেখলেন বিভীষণবাবুর মেয়ের চিকিৎসার কাগজপত্র।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে রচনা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। তবে আর পাঁচজনের থেকে খানিকটা আলাদা। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়বেটিস ইনসিপিডাস রোগে আক্রান্ত সে। দু’বছর ধরে চলছে চিকিৎসা। নিয়মিত নিতে হয় ইনসুলিন। ফলে মাসে মেয়ের চিকিৎসার জন্যই বিভীষণের খরচ হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। যা জোগাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাবে জানার পরই তাই বিভীষণ স্থির করেছিলেন, অমিত শাহের কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের আর্জি জানাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওই পড়ুয়ার খরচ নেবে বিজেপি। এরপরই রবিবার বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি যান সুভাষ সরকার।
এদিন রচনার সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন চিকিৎসক–সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে এইমস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে ওই ছাত্রীর। বিজেপি’র এই সহযোগিতায় আনন্দে আত্মহারা বিভীষণ হাঁসদা। তাঁর কথায়, ‘আমি রাজনীতি করি না। আজ সুভাষবাবু আসায় মনে হচ্ছে মেয়েটা ফের সুস্থ হয়ে যাবে।’