+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব!

নিজস্ব সংবাদদাতা - September 16, 2020 10:23 am - বিজ্ঞান

শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব!

শুক্র গ্রহে প্রাণ রয়েছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। আজ সোমবার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শুক্র গ্রহকে ঘিরে রাখা মেঘে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব তাঁরা শনাক্ত করেছেন। এ থেকেই তাঁদের ধারণা—গ্রহটিতে অণুজীবের অস্তিত্ব থাকতে পারে।

এমনিতে শুক্র গ্রহের মেঘ ভীষণ রকম অম্লীয় (অ্যাসিডিক)। এই মেঘে ফসফিনের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এই গ্যাস পৃথিবীতে উৎপন্ন হয় ব্যাকটেরিয়া থেকে। অক্সিজেন রয়েছে—এমন পরিবেশে থাকা ব্যাকটেরিয়া এই গ্যাস নিঃসরণ করে। শুক্র গ্রহে ফসফিনের অস্তিত্বের পেছনে এমন কোনো কারণ থাকলে, সেখানে প্রাণের উৎপত্তি বিকাশের পরিবেশ রয়েছে বলে আশাবাদী তাঁরা।
পৃথিবীতে ফসফিন গ্যাস মূলত ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্টি হয়, যা অক্সিজেন–সমৃদ্ধ পরিবেশের একটি চিহ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে স্থাপিত জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপের সাহায্যে শুক্রগ্রহে এই ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা কোনো প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে পারেননি। তাঁরা বলছেন, পৃথিবীতে ফসফিন গ্যাস মূলত ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্টি হয়, যা অক্সিজেন–সমৃদ্ধ পরিবেশের একটি চিহ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে স্থাপিত জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপের সাহায্যে এই ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। পরে চিলির অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার/সাবমিলিমিটার অ্যারে (এএলএমএ) রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন তাঁরা।

কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি ইন ওয়েলসের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেন গ্রিভসের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণার নিবন্ধটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত হয়েছে। নিজের পর্যবেক্ষণ ও এর ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভীষণ রকম বিস্মিত হয়েছি।’
শুক্র গ্রহ সম্পর্কে আমরা এই মুহূর্তে যা জানি এবং ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্বের যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা যা হতে পারে, তা হচ্ছে সম্ভবত সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। আমি এই বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, যদি এটা ফসফিন হয়, তবে সেখানে প্রাণ আছে। এর অর্থ হচ্ছে, আমরা একা নই। আর তা যদি হয়, তবে শুধু শুক্র গ্রহে নয়, এই সৌরমণ্ডলে আরও অনেক প্রাণ রয়েছে।
ক্লারা সুসা-সিলভা, এমআইটির আণবিক জ্যোতির্পদার্থবিদ বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করছেন। এ জন্য প্রাণের অস্তিত্বের জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে মঙ্গল গ্রহের দিকে। বিশ্বের পরাশক্তিগুলো মঙ্গলের দিকে বরাবরই শ্যেন দৃষ্টি রেখেছেন। মঙ্গলে রোবটও পাঠানো হয়েছে। মূলত প্রাণের অস্তিত্বের পরোক্ষ উপস্থিতি শনাক্তের জন্যই টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা গোটা পৃথিবী খুঁজে বেড়িয়েছেন এবং এখনো বেড়াচ্ছেন। এই সৌরজগতের অন্য গ্রহ এবং পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কোনো কিছুই এ ক্ষেত্রে বাদ পড়েনি। এই প্রেক্ষাপটে শুক্র গ্রহে ফসফিনের উপস্থিতি শনাক্ত একটি বড় ঘটনা।
গবেষণা নিবন্ধের সহলেখক ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) আণবিক জ্যোতির্পদার্থবিদ ক্লারা সুসা-সিলভা বলেন, ‘শুক্র গ্রহ সম্পর্কে আমরা এই মুহূর্তে যা জানি এবং ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্বের যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা যা হতে পারে, তা হচ্ছে সম্ভবত সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। আমি এই বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, যদি এটা ফসফিন হয়, তবে সেখানে প্রাণ আছে। এর অর্থ হচ্ছে, আমরা একা নই। আর তা যদি হয়, তবে শুধু শুক্র গ্রহে নয়, এই সৌরমণ্ডলে আরও অনেক প্রাণ রয়েছে।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube