শুভেন্দুর মুখে ‘ জয় বাংলা’ ও ‘ভারতমাতা জিন্দাবাদ’— এই দুই স্লোগান নিয়ে জোর আলোচনা রাজ্য জুড়ে
আজ নন্দীগ্রামের তেখালিতে রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৩তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে ১৫ মিনিটের বক্তব্যে তোপ দাগলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বক্তব্যের শেষে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা দুটি স্লোগান নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
এদিনের সভা শেষে সভায় উপস্থিত সকলকে নিয়ে সমস্বরে উচ্চরিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’। আর তারপরই ‘জয় বাংলা’ ও ‘ভারতমাতা জিন্দাবাদ’— এই দুই স্লোগানে আওয়াজ তুলে বক্তব্য শেষ করেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বর্তমানে ব্যবহার করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আর অন্যদিকে, বিরোধী দল বিজেপি–র ট্রেডমার্ক স্লোগান ‘ভারতমাতার জয়’। তাই এদিনের ‘অরাজনৈতিক’ সভামঞ্চে শুভেন্দুর মুখে দুই বিরোধী রাজনৈতিক দলের স্লোগান শুনে কিছুটা বিভ্রান্তিতেই পড়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল।
প্রতি বছর ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে অরাজনৈতিক সভা করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। যার প্রধান মুখ রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। প্রতি বছরই এই স্মরণ অনুষ্ঠান ঘিরে জনসমাগম হয় ভালই, কিন্তু এবার যেন সব রেকর্ড ভেঙে গেল।
মানুষকে জায়গা দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে সভামঞ্চে উঠে শুভেন্দু মানুষের কাছে এদিন ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘মাঠ ছোট। তিনগুণের বেশি লোক এসেছে। হাজারে হাজারে লোক। ১০ কিমি রেডিয়াসে মানুষ থিকথিক করছে।’ এ বছর রেকর্ড–ভাঙা ভিড় দেখা গেল এই অনুষ্ঠানে, এমনটাই বলছেন স্থানীয় মানুষ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানান, গত ১২ বছরেও সভায় সাধারণ মানুষের এই পরিমাণ উপস্থিতি দেখা যায়নি।
একইসঙ্গে এদিন রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৩তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে আসা মানুষের আপ্যায়নের ব্যাপারে বলতে গিয়ে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘আপনাদের জল ছাড়া আর কিছুই দিতে পারিনি।’ রাজনৈতিক সভা, মিছিলে ভিড় বাড়াতে ডিম–ভাত বা বিরিয়ানির টোপ দেওয়ার চেষ্টা এ ভাবেই কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।