সাড়ে ৬ মাস পর আলিপুর–সহ সব চিড়িয়াখানা খুলছে আজ
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানগুলি পর্যটকদের জন্যখুলে দিয়েছে। অপেক্ষা ছিল চিড়িয়াখানা খোলার। অবশেষে আজ, শুক্রবার, মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসের দিন থেকেই আলিপুর চিড়িয়াখানা–সহ রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যে মোট ১২টি চিড়িয়াখানা। প্রত্যেক বছর এই সব চিড়িয়াখানায় ৫০ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থী ভিড় করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আলিপুর চিড়িয়াখানা ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। এই দুটিতেই ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ প্রত্যেক বছর যান। রাজ্যের বন দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘আজ থেকেই রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা খুলে যাচ্ছে। মহামারীর জেরে ১৭ মার্চ থেকে সেগুলি বন্ধ ছিল।’
দেশের সব থেকে পুরনো আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ, হাতি, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, জিরাফ, অ্যানাকোন্ডা এবং শিম্পাঞ্জির মতো অনেক বিপন্ন প্রজাতির জীবজন্তু রয়েছে। ওদিকে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় হিমালায়ান প্রজাতির জীবজন্তু সংরক্ষণ করা হয়। এখানে প্রধান আকর্ষণগুলি হল— লাল পান্ডা, স্নো লেপার্জ, নীল ভেড়া, তিব্বতী নেকড়ে, সালামান্ডার ইত্যাদি।
এই দুটি চিড়িয়াখানা সম্প্রতি এখানকার বাসিন্দা কয়েকটি প্রাণীর ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেছিল। এই মহামারীর সময় বাড়িতে বসে দিনে ২ ঘণ্টা পছন্দের প্রাণীর লাইভ ভিডিও দেখে অনেকেই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন। তবে এবার সেই বিধিনিষেধ আর থাকল না।
বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তার মতে, সামনেই উৎসবের মরশুম শুরু হচ্ছে। দুর্গাপুজো শুরু হতে এক মাসেরও কম সময় রয়েছে। শীত আসন্ন। এই সব কারণগুলিই বন বিভাগকে পর্যটকদের জন্য চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানগুলি আবার খুলতে উৎসাহিত করেছে।