আজ থেকেই দিল্লিতে খুলে যাচ্ছে নার্সারি স্কুল।
ওমিক্রন-ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই দেশের দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩ লক্ষের গণ্ডি। প্রতি দিন হু হু করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা ঘিরে বলাই বাহুল্য, ফের ত্রাস সৃষ্টি হয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু কড়া বিধিনিষেধ এবং টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সুফল পাওয়া গেল ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই। বর্তমানে দেশে দৈনিক সংক্রমণ কমে ৩৫ হাজারের নীচে। পাশাপাশি মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার দুটোই বর্তমানে স্বস্তিদায়ক।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩৪ হাজার ১১৩ জন। রবিবারের তুলনায় যা ১০ হাজার কম। এই মুহূর্তে দেশে করোনা পজিটিভিটি রেট ৩.১৯ শতাংশ। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৮২ জন। একদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯১ হাজার ৯৩০ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৬৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ১৭৩ কোটি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
তবে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক করোনায় মৃত্যুর গ্রাফ। গত সপ্তাহেও হাজারের উপরে ছিল দৈনিক মৃত্যু। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪৬ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই কোভিডবিধিও শিথিল হচ্ছে রাজ্যগুলিতে। আজ থেকেই দিল্লিতে খুলে যাচ্ছে নার্সারি স্কুল। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।