১১ জুলাই রাত আটটা থেকেই পুরীতে কারফিউ শুরু হয়ে যাচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বছরও ভক্তবিহীন রথযাত্রা হচ্ছে পুরীতে । আর তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে ওড়িশা প্রশাসন । ১১ জুলাই রাত আটটা থেকেই পুরীতে কারফিউ শুরু হয়ে যাচ্ছে। ১৩ জুলাই রাত আটটা পর্যন্ত তা বজায় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। পুরী এবং ওড়িশার অন্যান্য জেলায় রথযাত্রার আয়োজন করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু পুরী ছাড়া ওড়িশার অন্যান্য অংশে রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি নবীন পট্টনায়েক প্রশাসন। এর বিরুদ্ধে আদালতে একগুচ্ছ পিটিশন জমা পড়ে। এদিন সেই সমস্ত পিটিশন খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। জানিয়ে দেন ওড়িশা সরকারের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।তাই গতবারের মতো এবারও কোভিডবিধি মেনেই পালিত হবে জগন্নাথ (নান্দীঘোষ), বলভদ্র (তালধ্বজ) ও সুভদ্রার (দর্পদলনা) রথযাত্রা। থাকবে না কোনও রকম ভক্ত সমাগম। যাঁরা রথের কাছাকাছি উপস্থিত থাকবেন এবং রথের রশি টানার সুযোগ পাবেন প্রত্যেককে নেগেটিভ RT-PCR রিপোর্ট দেখাতে হবে। পাশাপাশি টিকার দু’টি ডোজই হয়ে গিয়ে থাকতে হবে। এলাকার সমস্ত পর্যটককে ১০ তারিখের মধ্যে পুরী ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। রথ উপলক্ষ্যে পুরীতে যান চলাচলের উপরও বিধিনিষেধ থাকছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দোকান খোলা না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ১২ জুলাই রথযাত্রার তিথি। প্রাক করোনা কালে মহাসমারোহে পালিত হত এই উৎসব। ভক্তের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকত না। গতবার থেকেই সেই চেনা দৃশ্য আর দেখা যায়নি। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না বলেই খবর। শোনা গিয়েছে, এবার ৩ হাজার সেবায়েত অংশ নেবেন অনুষ্ঠানে। সুরক্ষার জন্য ১ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কারফিউর সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে ওড়িশায়।