১২ মার্চ মনোনয়ন পেশ করবেন শুভেন্দু অধিকারী, সঙ্গে থাকছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান
সেরা নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। কারণ এখানে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। আর এই যুযুধান প্রতিপক্ষের যুদ্ধের আগাম হুঙ্কার দিয়েছেন দুই পক্ষই। শুরু হয়েছে প্রচারও। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সূত্রে খবর, ১২ মার্চ মনোনয়ন পেশ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান। আবার শিবরাত্রির দিন মনোনয়ন পেশ করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সুতরাং সবমিলিয়ে চরমে উত্তেজনা নন্দীগ্রামে।
একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রই হল ফোকাস পয়েন্ট। একদা সতীর্থের সঙ্গে বাংলার নেত্রীর লড়াইকে ঘিরে জমে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। এদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ১২ মার্চ মনোনয়ন পেশ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সুতরাং মনোনয়ন পেশের পর দু’জনেই জমি আন্দোলনের জেলায় ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন থেকে পতাকা–ফেস্টুনে মুড়ে গিয়েছে নন্দীগ্রাম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে চলে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরই জোর টক্কর হবে দিদি বনাম দাদার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম আমার সবথেকে লাকি জায়গা। নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১ সালে তৃণমূল জিতবে। আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়। ভাবছিলাম। কথার কথা। একটু বললাম। একটু ইচ্ছে হল। এটা আমার মনের জায়গায়। সুব্রত বক্সিকে আমার নাম মনে রাখতে বলব। তারপরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায়, শুধু নন্দীগ্রামকেই ‘দাঁড়াচ্ছেন তিনি। আর একাধিক সভা থেকে হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেছেন, নন্দীগ্রামে হাফ লাখের বেশি ভোটে মাননীয়াকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। সুতরাং এখানে জোর লড়াই হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।