দুই থেকে ১৮ বয়সিদের উপর কোভ্যাক্সিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়াল চালানোর জন্য ভারত বায়োটেককে অনুমতি দিয়েছে সিডিএসসিও
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে নাকি সবথেকে বেশি প্রভাবিত হবে শিশুরা। এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দুই থেকে ১৮ বয়সিদের উপর কোভ্যাক্সিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়াল চালানোর জন্য ভারত বায়োটেককে অনুমতি দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞ কমিটি।
দিল্লি এইমস, পাটনা এইমস, নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ৫২৫ জনের উপর ট্রায়াল চালানো হবে। সূত্র উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখার পর দুই থেকে ১৮ বয়সিদের উপর কোভ্যাক্সিনের সুরক্ষা, প্রতিক্রিয়াশীলতা এবং অনাক্রম্যতা পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষে ক্নিনিকাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগে ভারত বায়োটেককে দ্বিতীয় দফার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজেশনের কাছে ডেটা অ্যান্ড সেফটি মনিটরিং বোর্ডের পরামর্শও জমা দিতে বলা হয়েছে। তারপরই শুরু করা যাবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই একটি মামলার শুনানিতে কার্যকারীভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য অবিলম্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের টিকাকরণ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়, তাহলে হয়তো তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা যাবে। আর সেটার জন্য বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টিকাকরণ করতে হবে। শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে (করোনার) তৃতীয় ঢেউ সামনেই আসছে। যা শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে। একটি শিশু যখন হাসপাতালে যাবে, তখন তার মা এবং বাবাকেও যেতে হবে। তাই এই শ্রেণিরও টিকাকরণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের টিকাকরণের জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে এবং সেরকমভাবে প্রস্তুতি সারতে হবে।’