১৯৯৩ এর পর আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতল আর্জেন্টিনা।
১৯৯৩ এর পর আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতল আর্জেন্টিনা। আন্তর্জাতিক ট্রফি উঠল মেসির হাতে। তিনবার কোপা ফাইনালে হারতে হয়েছিল। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। অ্যাঞ্জেল ডি’মারিয়ার গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হল মেসির আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে ট্রফির খরা কাটালেন মেসি। পূর্ণতা পেল তাঁর কেরিয়ার। এই নিয়ে ১৫ বার কোপা চ্যাম্পিয়ন হল আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের পাশাপাশি কোপার সবচেয়ে সফল দল তারাই।
রবিবার মারাকানায় ম্যাচের শুরুটা ছিল সাদামাটা। খেলাও তেমন দৃষ্টিনন্দন হচ্ছিল না। কিন্তু সবকিছু বদলে গেল ম্যাচের ২২ মিনিটে। রড্রিগো ডি’পলের বাড়ানো পাস থেকে একটা দুর্দান্ত চিপ। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের যেন সপ্তম স্বর্গে পৌঁছে দিলেন ডি’মারিয়া। ম্যাচের ২২ মিনিটে সেই যে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেল, তারপর শত চেষ্টাতেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি ব্রাজিল। নেইমার, ফির্মিনোদের একেবারে পকেটে পুরে ফেললেন ওটামেন্ডি, অ্যাকুনারা। নেইমারের পায়ে বল এলেই কোনও না কোনও আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার তাঁকে ট্যাকল করেছেন। আর ডি–বক্সের মধ্যে বল নিয়ে গেলেই পাঁচিলের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন ওটামেন্ডি। গোলরক্ষক মার্টিনেজের কৃতিত্বও কম কিছু নয়। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। একাধিক বিশ্বমানের সেভ উপহার দিয়ে দলকে জিতিয়ে আনলেন তিনি। তবে ৫২ মিনিটের মাথায় গোল পেয়েই গিয়েছিল ব্রাজিল। রিচার্লিসনের শট জালে জড়িয়ে যায়। তবে অফসাইড ছিলেন তিনি। বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।
অন্যদিনের তুলনায় বরং এদিন খানিকটা ম্লান মনে হল মেসিকে। শেষের দিকে একটা দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোল করতে পারলেন না। এই সুযোগটায় হয়তো ১০০ দিনের মধ্যে বাকি ৯৯ দিন চোখ বন্ধ করেও বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দিতেন লিও। পাহাড়প্রমাণ চাপে সেটিও নষ্ট করেছেন তিনি। কিন্তু গোটা বিশ্বের অগণিত মেসি ফ্যানের প্রার্থনা হয়তো এতদিনে কাজে এল। সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করা সত্ত্বেও এবারে আর মেসির নামের পাশে ব্যর্থতার তকমা লাগানো যাবে না। এবারে তিনিই চ্যাম্পিয়ন। তাঁর হাত ধরেই ২৮ বছর পর শাপমুক্তি হল আর্জেন্টিনার।
আর্জেন্টিনা ১ ব্রাজিল ০
(ডি’মারিয়া)