২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল আদালত।
রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় নির্দেশ আদালতের। ভোট আবহে সোমবার সকাল থেকেই সকলের নজর ছিল আদালতের রায়ের দিকে। নজর ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তের দিকে। সূত্রের খবর, প্রায় ২৮০ পাতার রায় প্রস্তুত ছিল এসএসসির চাকরি বাতিলের মামলার রায়ের জন্য। রায়দানে আদালত জানিয়ে দিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরের কোনও চাকরির বৈধতা নেই। ২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল আদালত। এক ধাক্কায় বাতিল প্রায় ২৬ হাজার চাকরি। শুধু চাকরি বাতিল নয়। এক সঙ্গেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেতন ফেরতের। এদিন আদালত জানায়, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। এই বেতন ফেরত প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। এতদিনের প্রাপ্ত বেতন ১২ শতাংশ সুদে ফেরত দিতে হবে তাঁদের। আদালত জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিসহ মামলাগুলির তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে সিবিআই। প্রয়োজনে তদন্তকারী আধিকারিকরা অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। এসএসসি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে সেগুলি। তার ভিত্তিতে তৈরি করতে হবে নতুন প্যানেল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নতুন পুনর্মূল্যায়নের পর, যাঁরা স্বচ্ছভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের যোগ্যতার নিরিখে পুনরায় চাকরি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রইল। অন্যদিকে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি-কে কী কী নিয়ম মানতে হবে, রায়ে তাও উল্লেখ করে দিয়েছে আদালত। সমগ্র প্রক্রিয়ায় একজন চাকরি পেয়েছিলেন মানবিকতার খাতিরে, বহাল রইল তাঁর চাকরি।