২১ জানুয়ারি নতুন দল ঘোষণা করবেন আব্বাস সিদ্দিকি
ডিসেম্বরে নতুন দল ঘোষণা করার কথা ছিল ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির। তবে সেটা কিছুটা পিছিয়েছে। একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তিনি ২১ জানুয়ারি তারিখটাকেই বাছলেন নতুন দল ঘোষণা করার জন্য। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে করে আব্বাস সিদ্দিকি জানান, দলিত মুসলিম ও পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে কমবেশি ১০টি দলকে একত্রিত করে ফ্রন্ট তৈরি করবেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রাজ্যের ২৯৪টি আসনের প্রত্যেকটিতে প্রার্থী গেবে তাঁর ফ্রন্ট।
সম্প্রতি বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেন। একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন যে রাজ্যে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তিনি চলবেন। একদিকে আব্বাসের নতুন দল বা ফ্রন্ট আর অন্যদিকে ওয়েইসির মিম যদি মিলে যায় তবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিস্তর ‘ভোট কাটার’ সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কারণ, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১০ লক্ষেরও বেশি সদস্য রয়েছে মিমের। আর মুসলির ‘ধর্মগুরু’ আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীর সংখ্যাও সেই তুলনায় কম কিছু নয়। এই দুই শক্তি যদি মিলে যায় এবং প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ ভোট যদি তাঁদের দিকে চলে যায় তাতে তৃণমূলের থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কেউই হবে না।
যদিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা এখনও হারায়নি তৃণমূল। তৃণমূলের সঙ্গে আছেন বলে আগেই ঘোষণা করেছেন ফুরফুরা শরিফের আর এক পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। পাশাপাশি তৃণমূলের বেশ কিছু পরিকল্পনাও রয়েছে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, হাজি নুরুল ইসলামদের মতো সংখ্যালঘু নেতাদের ভোটের ময়দানে নামাবে শাসকদল। সংখ্যালঘু ভোটারদের মন ধরে রাখতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকেই সামনে রেখে এগোতে চাইছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে নতুন দল ঘোষণা করবেন বলে যখন এর আগে আব্বাস সিদ্দিকি ঘোষণা করেছিলেন তখন আরও দুটি বড় ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী নির্বাচনে রাজ্যে যদি দল ক্ষমতায় আসে তবে দলিত অথবা আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে। এবং মুসলিম সম্প্রদায় থেকেই যোগ্যতম ব্যক্তিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে।’