+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

দ্বিতীয় দফা, ৩০ আসন, জেনে নেই চলুন আজকের মহারণ এর প্রার্থীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা - April 1, 2021 12:17 am - রাজ্য

দ্বিতীয় দফা, ৩০ আসন, জেনে নেই চলুন আজকের মহারণ এর প্রার্থীদের

চার জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে বৃহস্পতিবার। এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯, বাঁকুড়ার ৮, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।

দ্বিতীয় দফার ৩০ টি আসনে মোট ১৭১ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন ১৫২ জন এবং মহিলা প্রার্থী ১৯ জন।

পাথরপ্রতিমা – এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সমীরকুমার জানা। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী অসিত হালদার। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের সুখদেব বেরা। এই কেন্দ্রে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল। TMC প্রার্থী সমীরকুমার জানা জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৭৫,৫৯৫৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী ফণীভূষণ গিরি৷

কাকদ্বীপ – কাকদ্বীপ বিধানসভায় এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন মন্টুরাম পাখিরা। এই আসনে দাঁড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর জানা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন ইন্দ্রনীল রাউত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল।

সাগর – এই বিধানসভা আসনে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। এই আসনে দাঁড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী বিকাশ কামিলা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী শেখ মুকুলেশ্বর রহমান। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল।

তমলুক – বরাবরই সিপিআইয়ের গড় বলে পরিচিত রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক। তবে সেই রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের তৃণমূলের প্রার্থী সৌমেনকুমার মহাপাত্র। এই আসনে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী হরেকৃষ্ণ বেরা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রের প্রার্থী সিপিআই প্রার্থী গৌতম পণ্ডা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় সিপিআই।

পাঁশকুড়া পূর্ব – এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হলেন বিপ্লব রায়চৌধুরী। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী দেবব্রত পট্টনায়ক। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী শেখ ইব্রাহিম আলি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী শেখ ইব্রাহিম আলি জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৫,৩৩৪৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব রায়চৌধুরী৷

পাঁশকুড়া পশ্চিম – এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন ফিরোজা বিবি। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী শিন্টু সেনাপতি। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন সিপিআই প্রার্থী চিত্তদাস ঠাকুর। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ফিরোজা বিবি জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯২,৪২৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইয়ের চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুর৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৯,২৮২৷

ময়না – এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন সংগ্রামকুমার দলুই। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের প্রার্থী মানিক ভৌমিক। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সংগ্রামকুমার দলুই জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১০০,৯৮০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের মানিক ভৌমিক৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৮,৮৫৬৷

নন্দকুমার – এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন সুকুমার দে। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন অধিকারী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী করুণাশংকর ভৌমিক। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সুকুমার দে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৮,৫৪৯৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের সিরাজ খান৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৭,৬৮৩৷

হলদিয়া – হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন স্বপন নস্কর। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী তাপসী মণ্ডল। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের মণিকা কর পাইক। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৎকালীন সিপিআইএম প্রার্থী তাপসী মণ্ডল জয়ী হয়েছিলেন৷ এবারে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেই বছর তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১০১,০৩০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মধুরিমা মণ্ডল৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৯,৮৩৭৷

মহিষাদল – এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন তিলক চক্রবর্তী। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৪,৮২৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের সুব্রত মাইতি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৮,১১৮৷ তৃণমূলের প্রার্থী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সুব্রত মাইতিকে ১৬,৭০৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার সিপিআইএমের তমালিকা পণ্ডা শেঠকে পরাজিত করেছিলেন।

চণ্ডীপুর – এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী পুলককান্তি গুড়িয়া। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের আশিস গুছাইত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৫,৯৮২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএমের মঙ্গলচন্দ প্রধান৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৬,৩২৮৷

নন্দীগ্রাম – ‘‌হাইভোল্টেজ’‌ নন্দীগ্রামে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে পারদ চড়ছে নন্দীগ্রামের। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয়ী হয়েছিলেন৷ এবার তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সে বছর তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৩৪,৬২৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইয়ের আবদুল কবির শেখ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫৩,৩৯৩৷ তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের আবদুল কবির শেখকে ৮১,২৩০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।

খড়্গপুর সদর – খড়্গপুর সদরের বিজেপির প্রার্থী হলেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রদীপ সরকার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের রীতা শর্মা। আগে সমীর রায়কে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের ক্ষোভের জেরে প্রার্থী বদল করা হয়।জয়ী বিজেপি। এগিয়ে বিজেপি। (২০১৯ সালের উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল)। ১৯৬২ সালে এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন জ্ঞান সিং সোহনপাল। তারপর থেকে প্রায় ১০ বারের বিধায়ক ছিলেন তিনি। সেই জ্ঞান সিং ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে হারিয়ে জিতেছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। প্রায় ৬,০০০ ভোটে কংগ্রেসকে হারিয়েছিলেন দিলীপ।

নারায়ণগড় – এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সূর্যকান্ত অট্ট।বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন রামপ্রসাদ গিরি। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী তাপস সিনহা।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদ্যুৎকুমার ঘোষ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৯,৩১১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্র৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৫,৭২২৷

সবং- একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত সবংয়ে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূল-ত্যাগী অমূল্য মাইতি। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেস চিরঞ্জীব ভৌমিক।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী মানস৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১২৬,৯৮৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্মল ঘোষ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৭,৮২০৷

পিংলা – এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অজিত মাইতি। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন অন্তরা ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সমীর রায়।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌমেনকুমার মহাপাত্র৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০৪,৪১৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ডিএসপি(‌পিসি)‌—র প্রার্থী প্রবোধচন্দ্র সিনহা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮০,১৯৮৷

ডেবরা – এবার ডেবরা আসনে মুখোমুখি যুদ্ধ হতে চলেছে দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের। রাজনৈতিক পারদ চড়ছে এই আসনে। তৃণমূল কংগ্রেসের হুমায়ুন কবীর বনাম বিজেপির ভারতী ঘোষ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সেলিমা খাতুন (‌বিবি)‌৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯০,৭৭৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গির করিম৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৮,৮৬৫৷

দাসপুর – এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতা ভুঁইয়া। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী হলেন প্রশান্ত বেরা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন বামপ্রার্থী ধ্রুবশেখর মণ্ডল।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১৩,৬০৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী স্বপন সাঁতরা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিলেন ৮৪,৮৬৪।

চন্দ্রকোণা – এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অরূপ ধাড়া। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন শিবরাম দাস। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের গৌরাঙ্গ দাস। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী ছায়া দলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১৭,১৭২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী শান্তিনাথ বধুক৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৮,৭৯১৷

ঘাটাল – এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শংকর দলুই। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন শীতল কাপাট। ঘাটাল কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের কমল দলুই। একদা বাম দুর্গ বলে পরিচিত ঘটাল কেন্দ্রটি। তবে বামেদের শক্ত ঘাঁটিতে ২০১১ সালে থাবা বসায় তৃণমূল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শংকর দলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০৭,৬৮২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী চন্দ্রা দলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৮,২০৩৷

কেশপুর – জঙ্গলমহলের একটি বহুচর্চিত কেন্দ্র হল কেশপুর। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিউলি সাহা। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন পৃথ্বীশরঞ্জন কুয়ার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের রামেশ্বর দলুই।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৪৬,৫৭৯৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী রামেশ্বর দোলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪৫,৪২৮৷

তালড্যাংরা – তালড্যাংরা বিধানসভায় এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন অরুপ চক্রবর্তী। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী শ্যামলকুমার সরকার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের মনোরঞ্জন পাত্র। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি।

বাঁকুড়া – বাঁকুড়া বিধানসভায় এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের রাধারানি বন্দ্যোপাধ্যায়।০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী শম্পা দরিপা এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৮৩,৪৮৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিনতি মিশ্র৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৮২,৪৫৭৷ কংগ্রেস প্রার্থী শম্পা দরিপা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী মিনতি মিশ্রকে ১ হাজার ২৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।

বড়জোড়া – বড়জোড়া বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অলোক মুখোপাধ্যায়। এই আসনে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের সুজিত চক্রবর্তী। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী সিপিআইএম।

ওন্দা – ওন্দা বিধানসভায় এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন অরূপকুমার খাঁ। এই আসনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী অমর শখা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের তারাপদ চক্রবর্তী।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল প্রার্থী অরুপকুমার খাঁ এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৮০,৬০৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী মানিক মুখোপাধ্যায়৷ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি।

বিষ্ণুপুর – বিষ্ণুপুর বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অর্চিতা বিদ। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী তন্ময় ঘোষ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের দেবু চট্টোপাধ্যায়।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি।

সোনামুখী – সোনামুখী বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন শ্যামল সাঁতরা। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী দিবাকর ঘরামি। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের অজিত রায়।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী সিপিআইএম। লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি।

কোতুলপুর – এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। কোতুলপুর বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন সংগীতা মালিক। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী হরকালী পাতিহার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন অক্ষয় সাঁতরা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি।

ইন্দাস – ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি। এই কেন্দ্রটি তপসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন রুনু মেটে। এই আসনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী নির্মল ধাড়া। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের নয়ন শীল।২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গুরুপদ মেটে৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৪,৯৪০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী দিলীপকুমার মালিক৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৬,১০৩৷

 


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube