৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির।
ভারতে হানা দিয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’ । এখনও পর্যন্ত দেশে ২৫ জনের শরীরে মিলেছে নয়া স্ট্রেনের হদিশ। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বছর তিনেকের এক শিশুর শরীরেও মিলেছে ‘ওমিক্রন’। এই পরিস্থিতিতে সামান্য অসাবধানতাও বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের।
মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। শুক্রবার মন্দিরের ‘ছত্তিশা নিযোগ’ অর্থাৎ অ্যাপেক্স বডির সদস্যরা বৈঠকে বসেন। উল্লেখ্য, ‘ছত্তিশা নিযোগ’ কমিটিই জগন্নাথ মন্দির সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ওই কমিটির বৈঠকেই পুরনো বছরের শেষ এবং নতুন বছরের শুরুতে মন্দির বন্ধ রাখা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের পর এসজেটিএ প্রধান কৃষ্ণ কুমার জানান, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। মূলত করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের মতো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরও। আনলক পর্বে ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য মন্দির খুললেও পুরীর জগন্নাথ মন্দির বন্ধই ছিল। করোনা কালে পুরীর রথযাত্রায় জমায়েত একেবারে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র প্রথাটুকুই পালন করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস পর গত বছরের ডিসেম্বরে কোভিডবিধি মেনে ভক্তদের জন্য পুরীর মন্দিরের দরজা খোলে। বছরের শেষে শীতকালীন লম্বা ছুটিতে অনেকেই পুরী বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেক্ষেত্রে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা। সে কারণেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এড়াতে বছরের শেষ থেকে নতুন বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।