প্রথম দফায় থাকছে ৬৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিশেষ নজর মাওবাদী এলাকায়
যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাত পোহালেই প্রথম দফার ভোট গ্রহন শুরু হয়ে যাবে। জনমত দেবেন রাজ্যের ৩০ কেন্দ্রের ভোটাররা। সকাল থেকেই ৩০ কেন্দ্রে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটকর্মীরা নির্দিষ্ট ভোট কেন্দ্রের দিকে রওনা দিতে শুরু করেছেন। তারজন্য নিরাপত্তাকর্মীরাও তৎপর হয়ে রয়েছে। প্রথম দফাতে ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৫ জেলার ৩০ কেন্দ্রের প্রার্থীদের। পুরো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া থাকবে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া। প্রথম দফাতে সুষ্ঠ এবং অবাধ ভোট করানোটা কার্যত চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে।
ভোটের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েকশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে অনেকে বলছেন প্রথম দফার নির্বাচনই বলে কেমন যাবে বাকি দফাগুলি। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। জানা যাচ্ছে, ভোটে বুথে বুথে মোতায়েন করা হচ্ছে ৬৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যে রাজ্যে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছে গিয়েছে। তার মধ্যে ৬৫৯ কোম্পানি শনিবারের নির্বাচনে সুরক্ষার কাজে মোতায়েন থাকবে। বাকি বাহিনীকে টহলদারির কাজে ব্যবহার করা হবে।
যে সমস্ত জায়গাতে ভোট রয়েছে সে সমস্ত জায়গাগুলিকে ঘিরে ফেলা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। পাশাপাশি থাকছে রাজ্য পুলিশও। প্রথম দফার ভোটে মোট ১২ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। শনিবার রাজ্যের ৫ জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার মোট ৩০টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর, এগরাতে ভোট হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, কেশিয়াড়ি, খড়্গপুর, গড়বেতা, শালবনি, মেদিনীপুর কেন্দ্রে নির্বাচন হবে প্রথম দফায়। একটা বিশাল অংশ মাওবাদী এলাকা। সে কারনে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়।
প্রথম দফায় বুথের সংখ্যা ১০ হাজারের উপরে। প্রত্যেক সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সাধারণত স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর বুথে আবশ্যিক ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়। সেই হিসাবে সব বুথকেই স্পর্শকাতর ধরে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে। বুথের মধ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।