কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ফের তাকিয়ে অষ্টম বেতন কমিশনের দিকে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বহুদিন ধরেই তাকিয়ে রয়েছে অষ্টম বেতন কমিশনের দিকে। প্রতি ১০ বছর অন্তর এই পে কমিশন করা হয়ে থাকে। এর আগে সপ্তম পে কমিশন করা হয়েছিল ইউপিএ সরকারের আমলে। সময়টা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সাল। এরপর থেকেই কেটে গিয়েছে টানা ১০ টি বছর।
তারপর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ফের একবার তাকিয়ে রয়েছেন অষ্টম বেতন কমিশনের দিকে। সেখানে বেসিক থেকে শুরু করে পেনশন এবং অন্য সুবিধাগুলিও রয়েছে। তবে এখানেই চিন্তার খবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, অষ্টম পে কমিশন নিয়ে তারা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এমন কোনও প্রস্তাবও করা হয়নি। তাই ফের নতুন করে চিন্তার কালো মেঘ ছড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মনে।
এর আগে ২০১৪ সালে সপ্তম পে কমিশন যখন ঘোষণা করা হয়েছিল তারপর সেটি চালু হয় ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। সেইমতো চলতে হলে অষ্টম পে কমিশন চালু হওয়ার কথা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু আদৌ সেটি চালু হবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। তবে যদি অষ্টম পে কমিশন হয় তাহলে মুখে হাসি ফুটতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। ১৮৬ শতাংশ বাড়তে পারে ন্যূনতম মূল বেতন। অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণার আগে এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। যদিও সরকারি ভাবে এখনও এই কমিশনের ঘোষণা করেনি কেন্দ্র।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম মূল বেতন মাসে ১৮ হাজার টাকা। সপ্তম বেতন কমিশনে এই টাকার অঙ্ক ঠিক করা হয়েছিল। ষষ্ঠ বেতন কমিশনে মাসে সাত হাজার টাকা ছিল কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেসিক পে। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ন্যূনতম পেনশন ধার্য রয়েছে ৯ হাজার টাকা। সেখানেও ১৮৬ শতাংশের বৃদ্ধি হয়তো দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম পেনশন এক লাফে ২৫ হাজার ৭৪০ টাকায় গিয়ে পৌঁছতে পারে। অষ্টম বেতন কমিশনের ব্যাপারে এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। সূত্রের খবর আগামী বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে এর কথা ঘোষণা করবে কেন্দ্র।