তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিকে ফের ডেকে পাঠাল ইডি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিকে ফের ডেকে পাঠাল ইডি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে অভিষেক ব্যানার্জিকে তৃতীয়বার নোটিস পাঠানো হল। ইডি সূত্রে খবর, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে তলব করা হয়েছে অভিষেক ব্যানার্জিকে। এর আগে ইডির তরফে অভিষেক ব্যানার্জিকে দ্বিতীয়বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু মেল পাঠিয়ে তিনি জানান একদিনের নোটিসে তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই ইডির তরফে অভিষেক ব্যানার্জিকে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগেই মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘কলকাতার কেস দিল্লিতে কেন? কলকাতায় তো ইডির অফিস রয়েছে সেখানে ডাকতে পারত। অভিষেকের বিরুদ্ধে কেস থাকলে প্রমাণ করুক। এজেন্সির ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না। নারদ মামলায় সুব্রত মুখার্জিকে ফাঁসানো হচ্ছে অথচ আসল চোরকে ধরা হচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস সম্বন্ধে জানতে চায় ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, অভিষেক ব্যানার্জির সংস্থা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক সংস্থার বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে ইডির গোয়েন্দারা। এত টাকা কোথা থেকে এল এবং এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় লাগানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। তাই ইডির তদন্তকারী অফিসাররা টাকার উৎস সম্বন্ধে জানতে কথা বলতে চাইছেন অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে। সংস্থা গুলির মাথায় রয়েছে অভিষেক ব্যানার্জির আত্মীয়রা। সংস্থা গুলির মাধ্যমে প্রায় ৪.৩৭ কোটি লেনদেন করা হয়েছে বলে তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দাদের কাছে।
ইডির তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, বেআইনি কারবার চালাতে গিয়েই হয়তো এই ৪.৩৭ কোটি লেনদেন করা হয়েছে। এই বিষয়ে সেদিন ৯ ঘণ্টা ধরে অভিষেককে জেরা করলেও বিশদে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তদন্তের স্বার্থে ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টরদেরও তলব করা হতে পারে।
পাল্টা অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, ‘ইডির গোয়েন্দাদের কাছে আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক। আমার বিরুদ্ধে যদি ১০ টাকার লেনদেনও প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে আমি ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি। দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে।’
ইডির একটি সূত্রের দাবি, সেদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিষেক ব্যানার্জির কাছে বিনয় মিশ্রর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। বিনয় মিশ্র এখন কোথায় রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বিনয় মিশ্রর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়েও অভিষেককে জেরা করা হয়। প্রত্যুত্তরে অভিষেক তদন্তকারীদের জানান, কয়লা পাচার কাণ্ডে বিনয় মিশ্র জড়িত থাকলে সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।