সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রী !
বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে আর থাকছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় । তাঁর বদলে এই দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। পাকাপাকিভাবে এই প্রস্তাব কার্যকরী করতে আইন সংশোধনের কাজ শুরু করে দিল আইনসভা। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু হয়ে যাবে। সংশোধিত আইনটি কার্যকর হলে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা চ্যান্সেলর পদে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে রাজভবনের ঘেরাটোপ থেকে বের করে আনতে তৎপর হল সরকার।
সমস্ত রাজ্য সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অর্থাৎ আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি সংশোধন করে শীঘ্রই রাজ্য বিধানসভার সামনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার নবান্নে। এই বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আগাম ইঙ্গিত ছিল। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ”রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এখন রাজ্যপাল। কিন্তু এই সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হবে। আর তাতে আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুতই এই সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।” ব্রাত্য বসু এদিন আরও জানিয়েছেন, ”রাজ্যপাল সব বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে থাকেন, তাঁর কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাওয়া যায় না। প্রয়োজনীয় বিলে সই করতে কিংবা শিক্ষাক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজেও অসৌজন্য ও অসহযোগিতা দেখান রাজ্যপাল যা অনভিপ্রেত। এবং যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে অকারণ বিলম্ব হয়। সেই কারণে আমরা এত দ্রুত এই আইনি প্রক্রিয়া কার্যকর করতে চাই।”
প্রসঙ্গত, শুধু বঙ্গেই নয়, দক্ষিণ ভারতের একাধিক অবিজেপি রাজ্য়ে এই মর্মে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরল , তামিলনাড়়ুর কলেজগুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার পক্ষে দু’রাজ্যের প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর রাজ্য়ের ক্ষেত্রে এই পদে সাধারণত রাজ্যপালকেই বসানো হয়। তবে এবার তামিলনাড়ু, কেরলের সঙ্গে একই পথে হাঁটল বাংলার প্রশাসনও।