অজেয় সংহতি
অজেয় সংহতির এবছরের শারদ অর্ঘ্যের ভাবনা অনুপ্রাণিত হয়েছে তার নিজের নামাঙ্করণ থেকেই।ঠিক যেমন করে বর্তমানের সময় আমাদের প্রতিনিয়ত শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে আমাদের অন্তরের ভেতর থেকে হারিয়ে যাওয়া মূল্য বোধকে।আজ হয়তো গোটা পৃথিবী,দেশ,সমাজ,সময়ে অনেক আধুনিকীকরণ ঘটে গেছে।এগিয়ে গেছে প্রযুক্তিও।কিন্তু যা হারিয়ে যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।তা হলো মূল্যবোধ।আজ থেকে ৫০ বছর আগে আমাদের যাপনে জৌলুস হয়তো এখোনের নিরিখে অনেক অংশেই কম ছিল।কিন্তু যা আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল অনেক ঝড় থেকে।তা হলো ঐক্যতা।যাকে বাংলা অভিধান সুন্দর শব্দ বান্ধনীতে নামকরন করেছে ‘সংহতি’ নামে।
অর্থাৎ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকার শিক্ষা।যার সত্যতা নিহিত আছে আমাদের ক্লাবের নামের মধ্যেই।আর বলাই বাহুল্য,সময়ও ঠিক হীরক জয়ন্তী বর্ষে আমাদের মনের করিয়ে দিল আমাদের নামের গুরুত্ব। স্মরণ করিয়ে দিল সঙ্গবদ্ধ হয়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা।প্রমান করে দিল ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকলে তাকে হারানো শক্ত।কারণ এই পুজোর ইতিহাসের ভিত দাঁড়িয়ে আছে সকলের সঞ্চয়ের ওপর।যাকে অস্বীকার করা অসম্ভব।ঠিক যেমন এই ভয়ংকর অতিমারী আমাদের শিখিয়েছে অর্থ,বিত্ত, প্রতিপত্তিও অসহায় একাকিত্বের কাছে।তাই ‘একা’ নয় ‘এক’ হয়ে থাকার বার্তা দেবে এবছরের আমাদের শারদ ভাবনা।(সংহতি)।যাকে সহজে জয় করা যায়না।যে অজেয়।তাই অজেয় সংহতির এবারের শারদ অর্ঘ্য “সংহতি”।