আকাশপথে প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
টানা বৃষ্টির জেরে ভাসছে একাধিক জেলা। আকাশপথে প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আরামবাগে পৌঁছে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন তিনি। কালীপুরের একটি ত্রাণ শিবিরও পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে ডিভিসির উপর ক্ষোভ উগরে দেন দিয়ে বলেন, ‘রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছেড়েছে ডিভিসি। সেই কারণে আট জেলা প্লাবিত হয়েছে। সাড়ে পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে।’ সঙ্গে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন তিনি। বললেন, ‘মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। ডিভিসি ক্ষতিপূরণ দিক।’ তিনি আরও জানান, ‘চার লক্ষ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে। এক লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ঝাড়খণ্ড সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুক। ঝাড়খণ্ড সরকারের উচিত যাতে বাঁধগুলি সংস্কার করা হতে পারে।’ এরই সঙ্গে কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আমফানের সময়ও কেন্দ্র সাহায্য করেনি। এবারও করবে না। আমাদেরটা আমাদেরই করতে হবে। একসময় এই করতে করতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাবে।’ সেই সঙ্গে দাবি জানান, ‘কেন্দ্র মাস্টার প্ল্যান তৈরি করুক।’সেই সঙ্গে আশ্বাস দেন, ‘নবান্নে গিয়ে সব রিপোর্ট নিয়ে মিটিং করব। আশা করছি খুব দ্রুত জল নেমে যাবে।’ প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কার্যত জলের তলায় হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায়।