আলিপুর ৭৮ পল্লী
ধর্মঘট
আজ বিগত সাত মাসের উপরে গোটা পৃথিবী তথা পশ্চিমবঙ্গ এক অজানা এবং অদৃশ্য শত্রুর সাথে মরনপন লড়াই করে চলেছে ।প্রচুর মানুষ তাদের রুজিরুটির কর্মসংস্থান হারিয়েছে বহু মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে।এরকম জীবন এবং জীবিকার প্রশ্নবোধক চিন্হের সামনে আজ আমরা প্রতিটা মানুষ দারিয়ে।
ঠিক এরকম সময়ে কলকাতার দুর্গাপুজোকে নিয়ে একটা গেল গেল রব শুরু হয়ে যায় ।বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ বলতেও শুরু করে এ বছর ঘট পুজো হবে উৎসব হবে না।হাটে বাজারে সর্বত্র একই গান।
তাই সমাজের ঠিক সেই মানুষ দের উদ্দেশ্যেই আমাদের এ বছরের শারদ নিবেদন ধর্মঘট।
কারন হিন্দু সনাতনী ধর্মমতে যেকোন পুজো মূলত ঘটেই হয়।প্রতিমাটি একটি আবক্ষ মাত্র।
গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুরে বিভিন্ন প্রান্তিক গ্রাম গুলিতে বেশ কিছু লৌকিক দেবদেবীর পূজার্চনা করতে দেখা যায় ।যেগুলির মধ্যে মনশা ঘট,বাস্তু ঘট,বারা মূর্তি বহুল প্রসিদ্ধ ।সেই পূজার্চনার মূল আবক্ষই হল ঘট।এবং বেশ কিছু জায়গায় দেখা যায় যে সেই গ্রামের সেই অঞ্চলের মধ্যে সেই পুজো কে কেন্দ্র করে সেখানে একটা উৎসবের বাতাবরন তৈরি হয়।যেখানে জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয় সেই উৎসবে সামিল হতে।
তাই এই দীর্ঘ দিন ধরে এই অজানা শত্রুর সাথে মোকাবিলা করতে সমগ্র কোলকাতা বাসি অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পরছে। সে কারনে এ বছর আলিপুর ৭৮ পল্লী তে এবার ঘটপূজো।
কোভিড পরিস্থিতিতে আলিপুর ৭৮ পল্লী সদা সতর্ক..আসন্ন দূর্গা পূজা তে প্যান্ডেলে কাজ করতে আসা প্রত্যেক কর্মী ভাই দের কোভিড টেষ্ট করানো হয়েছে…তাদের বিভিন্ন shift এ ভাগ ভাগ করে কাজ করানো হচ্ছে…তাদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে.৷ এছাড়াও পূজো দেখতে আসা প্রত্যেক দর্শককে মাস্ক পরে পূজা প্যান্ডেলে ঢুকতে হবে…পূজা কমিটির পক্ষ থেকে তাদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হবে…দর্শক দের জন্য আলাদা প্রবেশ এবং বাহির পথ করা হয়েছে…একসাথে ২৫ জন প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে পারবেন…