আঁধার পেরিয়ে
প্রকৃতির কালো অন্ধকারের বৃওের মধ্যে মানুষের জন্ম হতে পারে। আর সে অন্ধকার দুঃখ দারিদ্রতা এবং নিরক্ষরতার। মানুষ আঁধারকে জয় করতে পারে, কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং শিক্ষা। বিপরীত গুণ দ্বারা প্রভেদ প্রদর্শন করতে পারলে এই অপগুণ আঁধার পেরানো সম্ভবপর হতে পারে। নচেৎ একগুয়েমী এবং অবাধ্য আঁধার পেরানো সম্ভব নয়। আঁধার আছে, তাই আলোরও সম্মান। আকাশে আমরা সূর্য দেখি সেই সূর্যের আলোয় রাএের সমস্ত আঁধার ধুয়ে দেয়। আমরা তখন চারিদিকে আলোর প্রকাশ দেখতে পায়। কিন্তু সেই জ্বলন্ত সূর্যের আলোকেই আঁধার করে দিতে পারে কালো মেঘে ছেয়ে গেলে বা সূর্যগ্রহণ লাগলে। সূর্যের এই আলোর বহিঃপ্রকাশকে কালো মেঘ দ্বারা বেশীক্ষণ আচ্ছাদন করে রাখতে পারে না। এমনকি সূর্যগ্রহণও সূর্যের আলোর ঝরনাকে বেশিক্ষণ আচ্ছাদন করে রাখতে পারে না। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই জ্ঞান আলোর সূর্য অজ্ঞানের আঁধারে ঢাকা রয়েছে। ঠিক যেন কালো মেয়ের ন্যায় সূর্যকে ঢাকার মতো অবস্থা মাএ। মানুষের আঁধার হচ্ছে অজ্ঞানতার এবং নিরক্ষরতার। এই আঁধার থেকে ভয়ের জন্ম নেয়, জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে এইসব আঁধারের বাঁধা অতিক্রম করা সম্ভবপর হবে। জ্ঞান আসে শিক্ষার দ্বারা। আর সঠিক সময়ে যদি সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করা যায় তবে আঁধারের মন ত্বকে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠা সম্ভবপর হতে পারে। মানুষের পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং লক্ষ ঠিক রেখে কর্ম করলে জীবনের সমস্ত বাঁধা চলার পথ থেকে অতিক্রম করা সম্ভবপর হতে পারে। যেমন কয়লার কালো অন্ধকার খনি থেকে কয়লা শ্রমিকরা কয়লা উওলোন করে আঁধার কয়লা খনির বাইরে নিয়ে আসে, তখন আঁধার পেরিয়ে সেই কয়লা সূর্যের আলোতে প্রকাশমান হয়। এই আলোর প্রকাশের কাছে কয়লাকে তুলে আনতে প্রচুর পরিশ্রম কয়লা শ্রমিকদের করতে হয়। তবেই আমরা সমাজ এবং সংসার জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারি। আবার বহু মূল্যের স্বর্ণ বা হীরক উওলোনের ক্ষেএেও ঐ একই পরিশ্রম একাগ্রতা, দক্ষতা এবং সঠিক জ্ঞানের প্রয়োজন।যে জ্ঞানের দ্বারা আমরা পরীক্ষা করে চিনতে বা জানতে পারি কোন পাথরে গুহার অন্ধকারের মধ্যে রয়ে গেছে। এই সব বহু মূল্যের সম্পদ রাশি। আবার সমুদ্র তলের গভীর আঁধারে কত রকমের রত্ন ভান্ডার রয়েছে। কিন্তু সেই আঁধার থেকে রত্ন ভান্ডার তুলে আনতে গেলে, যেটা প্রথমেই প্রয়োজন সেটা হচ্ছে সামুদ্রিক গভীর অতলে প্রবেশ করার জন্য প্রথমেই চায় প্রশিক্ষণ সমুদ্র জলে গভীর আঁধার পেরিয়ে কীভাবে সেইসব মণি কাঞ্চন বা প্রবালের কাছে পৌঁছানো যায়। সমুদ্রজলের গভীরে প্রবেশ করার ক্ষেএে অনেক রকম সর্তকতা অবলম্বন করতে হয় এবং কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতার প্রয়োজন। কারণ সমুদ্র প্রকৃতির পরিবেশের সঙ্গে এই দেহ প্রকৃতির সাম্যতার শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ইহা ছাড়া সামুদ্রিক জীব জন্তুর আক্রমণের বাঁধা অতিক্রম করতে হবে। এবং সমুদ্র পরিবেশের প্রকৃতির সঙ্গে দেহ প্রকৃতির সামঞ্জস্য বা খাপ খাওয়ানোর জন্য একাগ্রতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন নয়লে মণি, রত্ন বা প্রবালের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। এর থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে শিক্ষার মাধ্যমে কেবল আঁধার পেরিয়ে যাওয়া বা আসা সম্ভবপর হয়। বনের হিংস্র জানোয়ার বাঘ মানুষের বুদ্ধিমতার কাছে হার মেনে এবং মানুষের অনুগত হতে বাধ্য হয়েছে। সমুদ্রের মধ্যে যে সব হিংস্র জলজ প্রাণী রয়েছে, সেই সব প্রাণীকে সমুদ্র জলের গভীর আঁধারে, কুশল নিতীর শিক্ষার মাধ্যমে অতিক্রম করতে পারলে, তবেই। সমুদ্রের জলের আঁধার পেরিয়ে লক্ষে পৌঁছানো যেতে পারে।