আড়াই দিনের গোয়া সফরে মমতা সময় নষ্ট করতে বিন্দুমাত্র রাজি নন
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গোয়া পৌঁছলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আড়াই দিনের সফরে মমতা যে সময় নষ্ট করতে বিন্দুমাত্র রাজি নন, তা বুঝিয়ে দিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গোয়ার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। গোয়া তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে ‘এটা সবে শুরু। নতুন ভোর গোটা রাজ্যের জন্যই আসতে বাধ্য। আসবে প্রকৃত উন্নয়ন, প্রকৃত বৃদ্ধি এবং গণতন্ত্র।’
আজ থেকেই গোয়ার রাস্তায় নেমে পড়ছেন মমতা। বৃহস্পতিবার রাতে দলের পক্ষ থেকে শুক্রবার মমতার ঠাসা কর্মসূচি প্রকাশ করা হয়েছে। যার অনেকটাই রয়েছে পথে নেমে সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথোপকথন। তার সঙ্গে রাজ্যের প্রায় ৬২ শতাংশ হিন্দু জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী এক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি মন্দির দর্শন করবেন। করবেন সাংবাদিক সম্মেলনও। আর এই গোটা বিষয়টি কড়া হাতে পরিচালনা করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। প্রশান্ত কিশোর নিজে গোয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে, গত চার দিন ধরে বসে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করছেন। মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের তালিকা তৈরি, গোয়ার কোথায় কোথায় তিনি যাবেন, বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে তাঁর আলাপাচারিতায় কাঁদের ডাকা হবে, সেগুলির পিছনে রয়েছে তাঁর মস্তিষ্ক।
স্থির হয়েছে, শুক্রবার সকালে গোয়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। তারপর পানজিমের বেতিমে মাছের বাজারে যাবেন। কথা বলবেন মৎস্যজীবী এবং মাছ বিক্রেতাদের সঙ্গে। এক ঘণ্টা সেখানে কাটিয়ে গোয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ফিরে সাংবাদিক সম্মেলন। ফের বেরিয়ে মাঙ্গুয়েসি, মহালসা নারায়ণী এবং তপভূমি মন্দির দর্শন করবেন তৃণমূল নেত্রী। সন্ধেবেলা এখানকার সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতা।
মমতা ব্যানার্জিকে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা লুইজিনহো ফেলেইরো, স্বাতী কেলকর, এন শিবদাসের মতো নেতারা। যান তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তবে এখনও পর্যন্ত মমতার কর্মসূচিতে এখানকার ছোট দলগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের খবর নেই।