অর্ডিন্যান্স জারি করা অর্থ বিল ফেরত রাজ্যপালের, রাজভবন–নবান্ন সংঘাত অব্যাহত
ফের প্রকাশ্যে চলে এল রাজ্যপাল–নবান্ন সংঘাত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা বড় আকার নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ অর্ডিন্যান্স জারি করে দু’টি অর্থ বিল কার্যকর করার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চেয়েছিল নবান্ন। পত্রপাঠ সেগুলি ফেরত পাঠিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। আর তাতেই সংঘাত চওড়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী রাজ্যপালের যুক্তি, ‘বিধানসভার অধিবেশন চললে কোনও অর্ডিন্যান্স আনা যায় না। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে রয়েছে। সেই কারণেই বিল দু’টি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, জিএসটি পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। নিয়ম অনুযায়ী, সব রাজ্যকে বিধানসভায় এই সংক্রান্ত আইন পাশ করাতে হবে। এখন বিধানসভা চলছে না, তাই অর্ডিন্যান্স জারি করতে চেয়েছিল অর্থ দফতর। সেই অর্ডিন্যান্স জারি করা অর্থ বিলে সম্মতি না দিয়ে আইনি পথ দেখিয়েছেন রাজ্যপাল। সুতরাং এবার আইন দেখাবেন রাজ্যও বলে খবর।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিলটি রাজ্যের ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত। বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, রাজ্য এখন মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩.৫% বাজার থেকে ঋণ নিতে পারে। করোনা মহামারির কারণে কেন্দ্র তা বাড়িয়ে ৫% করেছে। কিন্তু রাজ্য আইন না করলে বাজার থেকে বাড়তি ধার নিতে পারবে না। এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের প্রস্তাবও রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেই বিলও ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। আর তাতেই রাজভবন–নবান্ন সংঘাত অব্যাহত থাকল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। তার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধানসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। রাজভবনের দাবি, অধ্যক্ষ যদি বিধানসভা মুলতুবি করার অনুমোদন চান এবং রাজ্যপাল যদি তাতে সায় দেন, তা হলে তার পরে সরকার অর্ডিন্যান্স আনতে পারে। না হলে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে বিল দু’টি পাশ করাতে হবে।