বালিতে হস্তশিল্প নিয়ে মুক্ত মেলা
হাওড়ার বালিতে গত ছ’মাস থেকে শুরু হয়েছে বাংলার হস্তশিল্প নিয়ে মুক্ত মেলা। খোলা আকাশের নীচে এই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে হাওড়ার রাণী পুতুল, হুগলির কাশিঘাষের তৈরি হাতের কাজ, বাঁকুড়ার পোড়া মাটির জিনিস, শান্তিনিকেতনের বস্ত্রশিল্প, কাঠের ভাস্কর্য, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, মেদিনীপুরের পটচিত্র, মাদুর আর হাতে আঁকা পোষাক। মেলার বিশেষ আকর্ষণ মুক্ত মঞ্চ। এই মুক্ত মঞ্চে থাকছে গান,নাচ, নাটক উপস্থাপনাও। বিভিন্ন জেলা থেকে শিল্পী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হচ্ছেন নিজেদের সৃষ্টি নিয়ে। কেউ এনেছেন সোলার তৈরি মূর্তি ও ফুল। কেউবা হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের মোমবাতি। আবার কারও সঙ্গে আছে হাতে তৈরি অলঙ্কার। কেউ এনেছেন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি খাওয়ার। ছৌ শিল্পী ও মোমবাতি বিক্রেতা অনন্যা বলেন এইরকম একটা উদ্যোগ ভীষণ দরকার ছিল। এই মেলা আমাদের অর্থনৈতিক দিককে যেমন উন্নত করবে, তেমনই খোলা আকাশের নীচে এক জায়গায়তেই মানুষ বিভিন্ন রকমের জিনিস পাবেন। ওনারা উদ্যোক্তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার শিল্পীরা এই উদ্যোগের জন্য আলোর দিশা পেয়েছেন। প্রতিমাসের দ্বিতীয় শনিবার ৩টা ও রবিবার সকাল ১১ টা থেকে বালির দেওয়ান গাজি রোডে শ্রমজীবী পাঠশালা চত্বরে হচ্ছে এই মুক্ত মেলা।
এই হস্তশিল্প মেলার উদ্যোগী শ্রমজীবী হাসপাতালের সদস্য সুপ্রিয় অধিকারী জানান, করোনার কারনে গত দু’বছরে বাংলার হস্তশিল্প ও হস্তশিল্পীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক দুর্বল হয়ে পরেছে। বাংলার হস্তশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ও হস্তশিল্পীদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির কথা মাথায় রেখে এই মেলার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই ব্যবস্থা করতে পেরে ওনার ভীষণ ভালো লাগছে। প্রতিমাসের দু’দিন ব্যাপী এই মেলায় যে সমস্ত শিল্পী ও ব্যবসায়ীরা আসছেন তাদের থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করছেন উদ্যোক্তারা নিজেরাই। ফলে বালির এই মেলাকে কেন্দ্র করে শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে।।