বামেদের হরতালের আংশিক প্রভাব রাজ্যে
বাম-কংগ্রেসের ছাত্র এবং যুব সংগঠনগুলির সম্মিলিত নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বামেরা। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। সকাল থেকেই কলকাতাতে বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি চলছে। কিন্তু বেলা বাড়তেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেল অবরোধের খবর আসছে। জেলায় বিভিন্ন রাজ্য ও জাতীয় সড়কও অবরোধ করেছেন হরতাল সমর্থনকারীরা।
অন্যান্য বারের মতো রাজ্য সরকার জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট। লালবাজার সূত্রে খবর, শুধু মাত্র মহানগরীতেই মোতায়েন ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। হরতালের পাশাপাশি এ দিন ছাত্র ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলি। ঘটনাচক্রে শুক্রবারই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু স্কুলে গেলে ছাত্রছাত্রীদের বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে এসএফআই-এর। ছাত্র ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র পরিষদও। নৈতিক সমর্থন জানানোর কথা ঘোষণা করেছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-ও। ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোথাও বিক্ষোভের মুখে না পড়েন সে ব্যাপারে নজর দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
চুঁচু্ড়া দেশবন্ধু স্কুলের সামনে এসএফআই-এর অবরোধ। স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হল না ছাত্রদের। বারুইপুরে রেল অবরোধ হয়।ডানকুনিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ হরতাল সমর্থকদের। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ। যান চলাচল বন্ধ। চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ডে পিকেটিং বাম কংগ্রেসের।রাস্তায় নামেনি কোনো বাস। হুগলি জেলার হিন্দিমোটরের ধারসায় জিটি রোড অবরোধ করে ফুটবল খেলছেন হরতাল সমর্থকরা। অবরোধ তুলতে এলে পুলিশকে চকোলেট ধরিয়ে দেন তাঁরা। হাওড়া ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত শানপুর মোড়ে রাস্তায় ফুটবল খেলে অবরোধ। পুলিশ এসে অবরোধ ওঠাতে গেলে ধাক্কাধাক্কি। এক ক্যাব চালকের ওপর চড়াও হন হরতাল সমর্থনকারীরা। বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে বামকর্মীদের রাস্তা অবরোধ। অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস।বর্ধমানে বামেদের মিছিল পার্কাস রোড হয়ে জিটি রোড দিয়ে যাচ্ছে।দুর্গাপুর, আসানসোলে রাস্তায় নাম বাস, টোটো বন্ধ করে দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। যার জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর স্টেশনে নামা যাত্রীরা সমস্যায়। কোচবিহার বাসস্ট্যান্ডের সামনে বাস আটকে দেন কংগ্রেস কর্মীরা। শুয়ে পড়েন বাসের সামনে। পুলিশ ৫ জন কংগ্রেস কর্মীকে আটক করেছে। এরকম বহু খবর পাওয়া গেছে।