বামেদের ইস্তেহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে
শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের সদর দফতর থেকে বামেদের ইস্তেহার প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু। ইস্তেহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে কৃষকদের আস্থা ফিরে পেতে জমি অধিগ্রহণ নীতির বদল ঘটানোর আশ্বাস দিয়েছে বামেরা।
২০০৬ সালে সিঙুর আন্দোলন ও ২০০৭-এ নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে বাম জমানার অবসানের প্রধান কারণ হিসাবে মনে করে নেতৃত্ব। সিঙুরে জমি অধিগ্রহণে যে ভুল হয়েছিল তা মেনে নিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ওই ঘটনার পরই রাজ্যের কৃষক শ্রেণির সমর্থন হারায় বামেরা। বামেদের পাশ থেকে সরে যায় মুসলিমরাও। কৃষকদের আস্থা ফিরে পেতে তাই ক্ষমতায় এলে জমি অধিগ্রহণ নীতির বদল ঘটনোর আশ্বাস দিয়েছে তারা।
ইস্তেহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় এলে বামেরা কৃষি ও শিল্প স্থাপনের ওপর সমান জোর দেবে। শিল্পের জন্য জমি দরকার হলে তা অধিগ্রহণ করা হবে মালিকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। সরকারি ভাবে গৃহীত কোনও সিদ্ধান্ত জমি মালিকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না।
সঙ্গে উদ্বাস্তুদের আস্থা জিততে ২০ বছর কোনও জমিতে বাস করছেন এমন পরিবারকে ৯৯ বছরের জন্য সেই জমির লিজ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে।