বঙ্গজননী বাহিনী হাওড়া জেলা (সদর) সম্মেলন হলো আলামোহন দাস স্টেডিয়ামে
বঙ্গজননী বাহিনী হাওড়া জেলা (সদর) সন্মেলন অনুষ্ঠিত হলো আলামোহন দাস স্টেডিয়ামে। সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয়। হাওড়া জেলার সভাপতি লক্ষীরতন শুক্লা ( মন্ত্রী) পতাকা উত্তোলন করেন। প্রতিটি জেলার সভাপতি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং কাকুলি ঘোষ দস্তিদার ( এম. পি)(চেয়ারপারসন বঙ্গজননী বাহিনী ) , বিভাষ হাজরা ( বিদায়ী মেয়র পারিষদ হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন ) ও দিপান্নিতা ঘোষ ( সভানেত্রী বঙ্গজননী বাহিনী হাওড়া জেলা সদর)প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। সারাদিন ব্যাপি কর্মী সন্মেলন হয় ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মহিলা কর্মীরা আসেন। সম্মেলন এর প্রস্তাবনাতে তুলে ধরা হয় বাংলার কন্যাদের শিক্ষিত ও সাবলম্বী করার জন্য প: ব : তৃনমূল কংগ্রেসের একটি অন্যতম উদ্যোগ হল কন্যাশ্রী প্রকল্প। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের বার্ষিক ১০০০ টাকার অনুদান এবং ১৮ বছর বয়সে এককালীন ২৫০০০ টাকার অনুদান ও লেখাপড়া করতে সাহায্য করেছেন। প: ব : তৃনমূল কংগ্রেস কর্তৃক প্রবর্তিত এই কন্যাশ্রী প্রকল্প United Nations – এর থেকে Highest public service award – এর সন্মান পেয়েছে। এরমধ্যে ৪ টি হস্টেল ইতিমধ্যেই তৈরী হয়ে গেছে। কলকাতার একবালপুরে মহিলাদের জন্য একটি সরকারি জেনারেল ডিগ্রি কলেজ চালু হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ( বানরাহাটে) রাজ্যের প্রথম হিন্দি মিডিয়াম জেনারেল ডিগ্রি কলেজ স্থাপিত হয়েছে। মুক্তির আলো – এর মাধ্যমে যৌন কর্মীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা ও সেক্স ট্রাফিকিং – এর ভিকটিমদের ন্যায় পাওয়ানোর প্রচেষ্টাও করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। মহিলাদের প্রতি অপরাধের বিরুদ্ধে zero tolerance নীতি নেওয়া হয়েছে। ৩০ টি মহিলা প্রচলিত থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এছাড়াও প্রতিটি জেলায় anti human trafficking units ও special juvenile police justice units ও প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ৫ বছরের ২৭০০০ – এর বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্থাপিত হয়েছে যাতে ১৬ লাখেরও বেশি মহিলা সদস্য আছে এছাড়া রুপশ্রী প্রকল্পে আথিক দূর্দশাগ্ৰস্থ পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের জন্য ২৫০০০ টাকার অনুদান দেওয়ার কথা প: ব : সরকার স্থির করেছে এই প্রকল্পের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার । মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা ও কর্মসংস্থান- এর পাশাপাশি রাজনৈতিক জগতেও নারীদের এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে যেখানে তার দলের প্রতীকে মহিলা প্রাথী ছিল ৩১ জন, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ জন, ২০১৯ – এর জুন মাসের শুরুতেই রাজ্য সরকার আরও একটি উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গজননী।