বিধিনিষেধ জারি থাকবে আরও ১৫ দিন
লকডাউন তথা যে বিধিনিষেধ রাজ্যে চলছে, তা জারি থাকবে আরও ১৫ দিন।
১৬ তারিখ থেকে ১ তারিখ এমনটাই চলবে। আজ, সোমবার নবান্নের সভাঘর থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবরকম জরুরি পরিষেবা অবশ্য খোলা থাকবে পুরোপুরি। সরকারি অফিসগুলিও খোলা রাখা যাবে, ২৫ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে। একই ভাবে বেসরকারি অফিস বা কর্পোরেট হাউসগুলিও খোলা রাখা যাবে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে, সকাল ১০টা থেকে চারটে পর্যন্ত। পরিবহণের ব্যবস্থা কোম্পানিগুলিকেই করতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের অফিসে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ই-পাসও নিতে হবে। ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে।
ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা অবধি করা যাবে মর্নিং ওয়াক, খোলা থাকবে পার্কগুলি। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে তবেই বেরোতে পারবেন পথচারীরা। জিম ও সুইমিংপুল অবশ্য বন্ধই থাকছে। রিটেইল শপ, বাজার, হাট, মাংসের দোকান, দুধ, ডিমের দোকান সকাল ৭টা থেকে ১১টা খোলা রাখা যাবে। অন্যান্য দোকান খোলা রাখা যাবে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।রেস্তোরাঁ, বারও খোলা রাখা যাবে, বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে ৫০ শতাংশ আসনে বসার অনুমতি থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামগুলিতে খেলাধুলোও শুরু হতে পারে, কিন্তু দর্শক ছাড়া। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৬ তারিখ থেকে খোলা যাবে শপিং মলগুলিও। সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা যাবে সেগুলি। তবে মলের যা ধারণক্ষমতা, তার ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ ঢুকতে পারবেন না। কোভিডবিধি মেনে চালু করা যেতে পারে শ্যুটিংও, তবে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি কাজ করা যাবে না। ভ্যাকসিন নিতে হবে সকলকে। মেনটেন করতে হবে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার। স্পেশ্যাল ট্রেন চলবে যেমন চলছে, তবে লোকাল ট্রেন এখনই চালু হচ্ছে না রাজ্যে। সব ধরনের গণপরিবহণের উপরেও বিধিনিষেধ থাকছে। রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব রকমের চলাফেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি ছাড়ের ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বারবার উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, রাজ্যে দু’কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ‘সুপারস্প্রেডার’ যাঁরা, তাঁদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বাংলার কোভিড পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিরাপদ বলেও দাবি করেন তিনি। জানান, নির্বাচনের সময়ে কোভিড পজিটিভের রেট অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, ২২ শতাংশ পর্যন্ত, সেটা এখন ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দফতরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং তা দ্রুত জানানো হবে। তবে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত্ ও তাঁদের সুবিধাই যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে, তাও জানিয়ে দেন তিনি।