বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সমাধি হোয়ে মতুয়া তীর্থে যাবেন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ এবং ভারত–বাংলাদেশ কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উপলক্ষ্যে গোটা বাংলাদেশটাই এখন একটা উৎসব মঞ্চ। রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের ‘মুজিব চিরন্তন’–এর ১০ দিনের মূল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন বিশ্বনেতারা। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সচিবালয় সূত্রে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখান থেকে জানা যাচ্ছে, ২৬–২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন তিনি। অর্থাৎ একদিন সেখানে থাকবেনও তিনি।
মোদী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছি। করোনা মহামারীর পর এটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর। আমি অত্যন্ত খুশি প্রতিবেশী দেশে সফর করতে চলেছি বলে। যেখানে সংস্কৃতি, ভাষা এবং মানুষে মানুষে মেলবন্ধন রয়েছে। আমি তাকিয়ে রয়েছি জাতীয় দিবস উদযাপনে আগামীকাল যোগ দেব বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমানের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে। শেষ শতকের সবচেয়ে বড় মাপের নেতা তিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল টুঙ্গিপাড়ায় যাবো শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ২৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ঢাকা–শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালি এক্সপ্রেস’–এর সূচনা। এই ট্রেন ঢাকার সেনানিবাস রেলস্টেশন থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলবে। প্রাচীন যশেস্বরী কালী মন্দিরেও যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন তিনি। তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। থাকবে কড়া নিরাপত্তা বলয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে মতুয়াদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। মোদীকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি ও ডঙ্কা–কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেবেন মতুয়ারা বলে খবর।