আবার বাংলার আকাশে ঘনিভূত নিম্নচাপের ঘনঘটা!
আবার বাংলার আকাশে ঘনিভূত নিম্নচাপের ঘনঘটা! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। আর তার জেরে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে চলবে টানা বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। নিম্নচাপের হাত ধরেই ১১ জুন দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে বর্ষা। এমনই পূর্বাভাস দিলেন আবহাওয়াবিদরা। মৌসম ভবন বলছে, আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হবে বৃষ্টিপাত। চলবে টানা ১৪ তারিখ পর্যন্ত। সতর্কতা জারি করা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। কারণ ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়বে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় নাগাড়ে বৃষ্টি হবে। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য বলছেন, এটি বর্ষা আসার আগের বৃষ্টি। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পূর্ব উত্তরপ্রদেশে থেকে দক্ষিণ বিহার হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। বঙ্গোপসাগরের বুকে একের পর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে প্রাক বর্ষার মরশুম তৈরি হয়েছে। আর তার হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে বর্ষা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১১ তারিখ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে। ১১ তারিখ থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতায়। উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়, মালদা ও দিনাজপুরে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ইয়াসের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। উপকূলবর্তী এলাকার বহু মানুষ এখনও গৃহহীন। তাঁদের অবস্থা পরিদর্শনে এই মুহূর্তে বাংলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসন ছাড়াও সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ এগিয়ে এসেছেন। তার মধ্যে বর্ষা ঢুকে পড়ায় বিপদ বাড়বে বই কমবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচুর বাঁধ ভেঙেছে। সেগুলি জরুরিকালীন ভিত্তিতে মেরামতির কাজ চলছে। যেগুলি অক্ষত রয়েছে, সেগুলি যাতে ভেঙে না পড়ে, তা নিয়ে চলছে বিস্তর চেষ্টা। প্রশাসন মূলত এখন উদ্বিগ্ন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিকে নিয়েই। এখনও বহু গ্রাম জলের তলায়। টানা বৃষ্টিতে ওই এলাকাগুলির কী অবস্থা, তা ভাবাচ্ছে। একে বর্ষা তার ওপর জোয়ারে সমুদ্রের জলস্ফিতি! জোড়া ফলার হাত থেকে দুর্গতদের রক্ষা করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।