ব্যারাকপুরে কত হবে জয়ের মার্জিন? ভোট শেষ হতেই খোলসা অর্জুনের
দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিতেই হলো ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে। যা অবাক করেছে অনেককেই।
বিশেষ করে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের চিত্রের সঙ্গে এবারের অবস্থার ফারাক অনেকটাই। আর সে কারণেই বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের দাবি, ২০০ শতাংশ নিশ্চিত জয়ের বিষয়ে।
আজ হলদিয়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সাধারণ মানুষরা প্রার্থীরা ভোটের দিন কী করেন তা দেখতে চেয়েছিলেন। বিজেপির স্পিরিট দেখিয়েছেন সকল প্রার্থী। অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, রথীন চক্রবর্তী-সহ সব প্রার্থীকে হ্যাটস অফ।
পঞ্চম দফার নির্বাচনের শেষে সন্ধ্যা সাতটায় সাংবাদিক বৈঠকে ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া গেল অর্জুন সিংকে। সকাল থেকে তিনি নানা জায়গায় ছুটে বেড়িয়েছেন। কোথাও বৃষ্টি মাথায় করেই বুথে ঢুকে বসিয়েছেন এজেন্ট। একাধিক জায়গায় শুনতে হয়েছে গো ব্যাক স্লোগান।
কৌস্তভ বাগচী থেকে শুরু করে অর্জুন ঘনিষ্ঠদের গাড়ি ভাঙচুরও হয়েছে। যদিও দিনের শেষে এগুলিকে পাত্তা দিচ্ছেন না অর্জুন। তাঁর কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর গুন্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গাড়ি ভাঙবে না, ইট-পাথর পড়বে না, তা হয় না। সব কিছুর পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
অর্জুন বলেন, পুলিশের কোনও ভূমিকাই ছিল না। পুলিশের সঙ্গে কথাই বলি না। এবার হিংসামুক্ত ভোট করানোই আমাদের স্ট্র্যাটেজি ছিল। সেটাই হয়েছে। গুন্ডামি কারা করে সেটা ব্যারাকপুরের মানুষের সামনে প্রমাণ করা আমার কাজ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি ও তাঁর পুলিশ গুন্ডাদের পোষে। হিংসা, গুন্ডামিই ওদের সংস্কৃতি।
তাঁকে গো ব্যাক দেওয়া প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, তাতে কী যায় আসে? গো ব্যাক বলতে পারে, গালাগালি করতে পারে। এটা ওরা ওদের নেতাদের দেখাতে চেয়েছে। এমনটা হবে জানতামই। দেড় লাখের কাছাকাছি ভোটে জিতব। আমডাঙাতে ২ ভোটে হলেও জিতব। এমনকী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের খাসতালুক নৈহাটি বিধানসভা ক্ষেত্রেও জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী অর্জুন। তিনি বলেন, ওদের এক গুন্ডা সারাদিন রাস্তায় দাঁড়িয়েই কাটিয়ে দিল। কিছুই করতে পারেনি। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে বেচারা বলেও কটাক্ষ অর্জুনের।