বেঙ্গল বয়েস ট্রেনিং এসোসিয়েশন
কালো মেয়ে কৃষ্ণকলিকে কবিগুরু দেখেছিলেন মাঠের মাঝে, মেঘলা দিনে। তার কালো হরিণ চোখ, পিঠের পরে লুটিয়ে থাকা মুক্তবেণী আর ত্রস্ত ভুরু মুগ্ধ করেছিল কবিকে। তা সে বর্ণনা যতই কাব্যময় হোক না কেন সাধারণ বাঙালি ঘরের কালো মেয়ের মূল্য সমাজে কানাকড়িও নয়। বিয়ের বাজারে সে যে একেবারেই অচল এ সত্য কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সকলেই স্বীকার করেছেন। অথচ সেই কালো মেয়েকেই আমরা আবিষ্কার করলাম দশভুজা রূপে। গৃহকর্ম হোক কিম্বা রোগীর সেবা, দুষ্টের দমন হোক কিম্বা শিষ্টের পালন – এই মেয়েই ‘শক্তিরূপেণ সংস্থিতা’।
অতিমারীর প্রকোপে সারা পৃথিবী যখন সন্ত্রস্ত তখন আমরা জানলাম মুক্তির একমাত্র উপায় সামাজিক দুরত্ব। ঠিক একই সঙ্গে নতুন করে অনুভব করলাম মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা। হিংসা নয়, শত্রুতা নয় আজ সকলকে হয়ে উঠতে হবে এক বৃহত্তর পরিবারের অংশ। এই পরিস্থিতিতে তাই অসুরদলনী দেবীর পরিবারের সদস্যরূপেই মহিষাসুর ধরা দিলেন আমাদের সামনে।