বেসরকারিকরণের জন্য চারটি ব্যাঙ্ককে শর্টলিস্ট করেছে সরকার !
বেসরকারিকরণের মাধ্যমে টাকা তোলার জন্য চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে শর্টলিস্ট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। রাজস্ব বৃদ্ধি করার জন্য বিলগ্নীকরণ ও বেসরকারিকরণের ওপর জোর দেওয়ার কথা এবারের বাজেটে বেশি করে বলা আছে।
ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভাবে তীব্র বিরোধিতা আসবে, এটা বলাই বাহুল্য। কারণ হাজার হাজার কর্মচারীর চাকরি সংকটে পড়তে পারে। সেই কারণে আপাতত মাঝারি স্তরের ব্য়াঙ্কগুলি দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করতে আগ্রহী সরকার। যে চারটি ব্যাঙ্ককে শর্টলিস্ট করা হয়েছে সেগুলি হল ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। দুইজন অধিকর্তা গোপনীয়তার শর্তে রয়টার্সকে এই কথা জানিয়েছে কারণ সরকার এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই তথ্য প্রকাশ করেনি।
জানা গিয়েছে যে পরের অর্থবর্ষে দুটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের চেষ্টা করতে পারে সরকার। যদি ভালো সাড়া পাওয়া যায়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে বড় কিছু ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের চেষ্টা করতে পারে সরকার। তবে স্টেট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সেটা হবে না। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সত্ত্ব ধরে রাখবে সরকার। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি।
গত কিছুদিন ধরে এনপিএ-র সমস্যায় ধুঁকছে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র। সেই জন্যই এই ক্ষেত্রকে ঢেলে সাজাতে চাইছে সরকার। করোনার জন্য এনপিএ-র পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। প্রথমে সরকার পরের বছর চারটি ব্যাঙ্ককে বিক্রি করার কথা ভেবেছিল। কিন্তু ইউনিয়নদের চাপের কথা ভেবে দুটি ব্যাঙ্ককে আপাতত বিক্রি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ৫০ হাজার কর্মী আছেন, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ৩৩ হাজার। ওভারসিজ ব্যাঙ্কে ২৬ হাজার। তবে ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রে মাত্র ১৩ হাজার কর্মী আছেন। তাই সেটাই সবচেয়ে আগে সরকার বেসরকারিকরণের জন্য বেছে নিতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে ৫-৬ মাস লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে রয়টার্স অনেক বিশেষজ্ঞের অভিমত নিয়েছে যাদের মতে ছোটো ব্যাঙ্কগুলি বেচে তেমন টাকা পাবে না সরকার। বরং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বা ব্যাঙ্ক অফ বরোদার মতো ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করলে অনেক বেশি রাজস্ব পেতে পারে সরকার।