হোয়াইট হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় মোদীকে বাইডেন জানান, ভারতেও বাইডেন পদবীর লোকেরা বাস করেন।
মোদী-বাইডেন সমীকরণ নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ২০২১-এ প্রথমদিকে। তবে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যকার ‘কেমিস্ট্রি’ যে দুর্দান্ত, তার প্রমাণ মিলল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। হোয়াইট হাউজে দুই নেতার বৈঠকে গুরুগম্ভীর আলোচনার পাশাপাশি ছিল হাসি, ঠাট্টা। জো বাইডেন নরেন্দ্র মোদীকে শোনান যে ভারতেও ‘বাইডেন’ পদবীর লোক আছেন। গল্প শুনে পালটা জবাব দেন মোদী। যা শুনে প্রাণ খুলে হাসতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।এদিন হোয়াইট হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় মোদীকে বাইডেন জানান, ১৯৭২ সালে তিনি যখন ২৯ বছর বয়সে প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে সেনেট পা রাখেন, তখন ভারত থেকে তাঁকে চিঠি লিখে এক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন যে ওই ব্যক্তির পদবীও বাইডেন। বাইডেন অবশ্য জানান, এই বিষয়ে পরে আর বেশি খোঁজ খবর নেওয়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। তবে বাইডেন জানান, হয়ত এখনও ভারতেই রয়ে গিয়েছেন সেই বাইডেনরা।বাইডেন জানান, তাঁর এক পূর্ব পুরুষ ইস্ট ইন্ডিয়া টি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ক্যাপ্টেন জর্জ বাইডেন নামে সেই পূর্ব পুরুষ সম্ভবত এক ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করেন। বাইডেনের গল্প শুনে মোদী জবাব দেন, ‘আপনি আগেও আমাকে এই বিষয়ে বলেছিলেন। তারপর থেকেই আমি নথি ঘেঁটে খুঁজে চলেছি তাঁদের। তবে আমি তো আজও পর্যন্ত বিষয়টা খুঁজে বের করতে পারিনি। তবে আমি নিজের সঙ্গে আমার খুঁজে পাওয়া নথি এনেছি। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যই হল সেটা খুঁজে বের করা। আমার আনা কিছু নথি হয়ত আপনার কাজে আসতে পারে।’ মোদীর এহেন জবাব শুনে হাসি থামাতে পারেননি বাইডেন।এদিকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘বিশ্বের দুই বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব যত দিন যাবে তত শক্তিশালী হবে। মোদী ও আমি কোভিড মহামারী মোকাবিলা ও নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলব। কোভিড মহামারী রোখাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমি বিশ্বাস করি, ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব বিশ্বের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারবে। ২০০৬ সালে আমি যখন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন বলেছিলাম ২০২০ সালে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কাছাকাছি আসবে।’