বিধাননগর : ভোটের প্রার্থী, অতীত ফলাফল – একনজরে সব তথ্য
এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন সুজিত বসু। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন সব্যসাচী দত্ত। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধাননগর’ কলকাতার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি উপনগরী তথা এই রাজ্যের প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র। এই শহরটি ‘সল্টলেক’ অথবা ‘লবণহ্রদ’ নামেও পরিচিত। কলকাতা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমাতে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে পরিকল্পিতভাবে এই শহরটি গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে বিধাননগর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিধাননগর মহকুমার অন্তর্গত একটি পুরশহর। বিধাননগরের পুলিশ প্রশাসনেও বদল ঘটানো হয়েছে। আগে বিধাননগর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অধীনে ছিল। সম্প্রতি এই পুরশহরকে স্বশাসিত পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় শহরের পূর্বভাগের এই শহর নির্মাণের মূল পরিকল্পনাটি করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কংগ্রেসের অধিবেশন বসেছিল এই নবনির্মিত লবণহ্রদে। ইন্দিরা গান্ধী তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনের পর্ণকুটিরের আদলে তৈরি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত তাঁর অস্থায়ী কার্যালয় থেকেই ঘোষণা করেন যে, ‘লবণহ্রদ’ নাম পরিবর্তন করে ‘বিধাননগর’ করা হয়। কংগ্রেস অধিবেশন চলাকালীনই ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের নামে শহরটি উৎসর্গ হয়।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৬,১৩০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অরুণাভ ঘোষ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫৯,১৪২৷ তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী অরুণাভ ঘোষকে ৬,৯৮৮ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সুজিত বোস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের পলাশ দাসকে পরাজিত করেছিলেন।
এখানে ২০১৯ লোকসভা ভোটের নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ১৮০০০ ভোটে পিছিয়ে।