আজ রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাক দিয়েছে বিজেপি
পুরভোটে ‘অশান্তি’। প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাক দিয়েছে বিজেপি । দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ‘যতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পশ্চিমবঙ্গে সুষ্টু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়’। বনধের ইস্যুকে সমর্থন করল কংগ্রেসও।
পুরভোটে অশান্ত বাংলা! কোথাও ভুয়ো ভোটার, তো কোথাও আবার ছাপ্পার ভোটের অভিযোগ উঠল। এমনকী, বাদ গেল না এভিএম ভাঙচুর ও গুলিও! শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তখনও ভোটগ্রহণ চলছে। গতকাল, রবিবার বিজেপির লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে কলকাতা। নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসও।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের দফায় দফায় নির্বাচন হচ্ছে। প্রাণহানি নেই, বুথ দখল নেই, ছাপ্পা ভোট নেই। ইউক্রেনে যুদ্ধভূমিতেও সাংবাদিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই নির্বাচনে সাংবাদিকরা আক্রান্ত হয়েছেন। ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে, তা ভাবার সময় এসেছে’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘শুধুমাত্র বিজেপি বা সাধারণ মানুষ হয়েছেন, এমন ঘটনা ঘটনা নয়। বহু জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে। রাজ্যে এ অদ্ভূত নৈরাজ্য চলছে। আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে’।
এদিকে মুর্শিদাবাদে ভোট দিতে বেরিয়ে বিক্ষোভে আটকে পড়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । তাঁর গাড়ি ঘিরে তুমুল স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বনধের ইস্যুকে কিন্তু সমর্থন করেছে কংগ্রেসও। বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ‘বনধ হওয়া উচিত, প্রতিবাদ করা উচিত। আমার ক্ষমতা থাকলেও আমি বনধ ডাকতাম’।
এদিকে বিরোধীরা যখন সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে, তখন পুরভোট শান্তিপূর্ণ কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে নীরব নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। আগামিকাল, রবিবার সকাল ৯ টা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হবে।